কথায় আছে, ‘এক ফুল, দো মালী’ এই ধরনের পরিস্থিতি চিরকালের দেখতে পাওয়া যায় অনেক প্রেমজ সম্পর্কের ক্ষেত্রে। বিশেষত, আজকের দিনের বিনোদন জগতে এই ধরনের পরিস্থিতি দেখতে পাওয়াটা খুব একটা নতুনত্ব কিছু নয়। বলাই বাহুল্য বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে জি বাংলার ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে ভালোবাসায় তৈরি হয়েছে টানাপোড়নের সম্পর্ক।
বেশ কয়েক সপ্তাহ আগের পর্বেই দেখা গেছে নিজের ভালবাসাকে দাম না দিয়ে নিজের স্বামীর বিয়ে দিয়েছিল শ্যামলী। এরপর থেকে সবকিছু স্বাভাবিক চললেও মাঝে নানা বিষয় নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হয় মল্লিক বাড়িতে এবং সেই ঝামেলায় বরাবরের মতো অনিকেতের কাছে শ্যামলী রক্ষাকবচ হয়ে উঠেছিল।

বর্তমানে এই সিরিয়ালের দেখা যাচ্ছে শ্যামলীকে জব্দ করতে তাঁর সামনেই অনিকেতকে টেনে নিয়ে গেল অনন্যা। অনিকেতের মা শ্যামলীকে জিজ্ঞাসা করে তার ছেলের সঙ্গে শ্যামলীর কীসের সম্পর্ক? প্রাথমিকভাবে শ্যামলী কিছু বলতে না যাওয়ায় পরে বলে ‘এক সময় আপনার ছেলের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়ে গেছিল কিন্তু এখন ডিভোর্স হয়ে গেছে। এখন আপনার ছেলের বউ হচ্ছে অনন্যা”। এই শুনে অনিকেতের মা বলে কেন এমন এই বোকামো করলে সে? নিজের ভুলের সঙ্গে শ্যামলীর ভুলের মিল খুঁজে পায় অনন্যার শাশুড়ি।
এসব শুনে শ্যামলী বলে, যা হওয়ার হয়ে গেছে এখন আর কিছু করার নেই। এদিকে অনিকেতের মা শ্যামলীকে দেখে খুব কষ্ট পায় এবং নিজের অবস্থার কথা মনে করতে থাকে। অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে, অপরাজিতা অর্থাৎ অনিকেতের মা অনন্যাকে বলছে যেভাবেই হোক আজকে রাতে তার ছেলেকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে হবে। নয়তো অনিকে শ্যামলীর সঙ্গে রাত কাটাবে বলে ভয় দেখায় অপরাজিতা।
এইসব শুনে অনন্যা তড়িঘড়ি করে বেরিয়ে পড়ে অনিকেতকে আনতে যাওয়ার জন্য। এদিকে দেখা যায় অনুরাধা, অনিকেত এবং শ্যামলী একসঙ্গে বসে চাইনিজ খাবার খাচ্ছে। এই দেখে বেজায় রেগে যায় অনন্যা এবং মনে মনে শ্যামলীকে বলে “এখানে একটা ছোট ফ্যামিলি তৈরি করার চেষ্টা করছো। সেটা আমি কোনভাবেই হতে দেব না”। হঠাৎই অনন্যাকে দেখে সবাই চমকি যায় এবং তাঁকেও খাবার খাওয়ার জন্য বলে।
আরও পড়ুনঃ একে অপরের যত্ন নিই, সময়ের অভাব থাকলেও সম্পর্কে পরিপক্বতা এসেছে, আদৃতকে নিয়ে অকপট কৌশাম্বি
সবার একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া হয়ে যাওয়ার পর অনন্যা যখন অনিকেতকে বাড়ি ফেরার কথা বলে। এই সময় অনিকেত বলে যে সে আজ মায়ের সঙ্গে থাকবে। কিন্তু আবার অনন্যা বলে “ওইদিকে যে মা’ও অপেক্ষা করছে” এই বলে অনেকেতের হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে চলে যায় অনন্যা। এই দৃশ্য দেখে অনেকের মনে এখন প্রশ্ন জেগে উঠেছে, তাহলে কি অনন্যা একটু একটু করে অনিকেত কি ভুল বুঝতে শুরু করছে?