অবশেষে পুলিশের হেফাজতে রুদ্র রূপ সান্যাল। তাহলেও নিশ্চিন্ত রায় চৌধুরী পরিবার। জি বাংলার ‘ফুলকি’ (Phulki) ধারাবাহিকের গত পর্বে দেখা গেছে, অংশুমান রুদ্রকে এরেস্ট করে থানায় নিয়ে গেছে এবং সেখানে গিয়েও রুদ্রও তেজ কোনো অংশেই কমেনি।
নানান কথার ভঙ্গিতে উল্টে অফিসার অংশকে হুমকি যে, কোনো পুলিশই কোনোদিন তাঁকে জেলে আটকে রাখতে পারবে না। এমন সময়, লাবু এবং রোহিত-ফুলকি থানায় এসে রুদ্রর কথা বলার ধরন দেখে অবাক হয়ে যায়।

লাবণ্য থানায় এসে রুদ্রকে দেখে নিজের মনের নানান কথা বলতে থাকে তাকে। লাবু বলে যে, সে ভেবে কষ্ট পায় একদিন এই লোকটাকে তাঁকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। গোটা নবাবগঞ্জ এই খবর জানায় কারোর কাছে মুখ দেখাতে পারেনা লাবণ্য। অন্যদিকে আবার, বাড়িতে বড়মা সবার জন্য রান্না করছে।
বড়মা রান্না করতে করতে তাঁর জীবনে বিগত দিনগুলিতে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার কথা বলছে রোহিতের মাকে। এমন সময় বাড়ি ফেরে ফুলকিরা। আর এসে দেখে জোরকদমে মাংস রান্না হচ্ছে। এদিকে, খেতে বসার সময় ধানু বলে কোন কেস রুদ্রকে দেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করছে সবার সঙ্গে। আর এইসব কথোপকথনই আড়াল থেকে শুনতে পায় ঈশানী। আর মনে মনে ভাবে রুদ্র এখন জেলে, এই সময়তেই রায় চৌধুরী বাড়ির সবার মন জয় করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ পরিণীতা’তে টানটান উত্তেজনা! টগরকে বাঁচাতে পারুল-রায়ানের একসঙ্গে লড়াই! এবার কি তুর্যের আসল রূপ প্রকাশ্যে আসবে?
এই ধারাবাহিকের আগামী পর্বে দেখা যাবে, খাওয়া দাওয়ার পর ফুলকি-রোহিত ঘরে আসে ঘুমানোর জন্য। আর এই সময় রোহিত ফুলকিকে বলে, ‘ আজ কতদিন পরে আমরা আমাদের ঘরে রয়েছি ফুলকি। প্লিজ আজকের রাতটা আমরা একটু শান্তিতে ঘুমাই’ এই বলে কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পরে। এরপর ফুলকি মনে মনে বলে, ‘আমি এই শান্তির ঘুম কিছুতেই নষ্ট হতে দেব না। জামাইবাবু আর পার পাবে না’।