টেলিভিশনের জগতে কম-বেশি বহু মানুষ এই নায়িকাকে চেনেন। খুব কম সময়ের মধ্যেই বিপুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন অভিনেত্রী ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায়। সর্বাধিক বেশি জনপ্রিয়তা তিনি পেয়েছেন করুণাময়ী রানী রাসমনির সারদামণি হিসেবে। আবার কড়ি খেলাতেও একটি ৫০০ চরিত্রের অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে ত্বরিতাকে।
সম্প্রতি তিনি বিদুষক সিনেমায় ডাবিংয়ের কাজ শেষ করলেন। এগুলি বাদেও আরো কিছু ধারাবাহিকের কাজ করেছেন তিনি। তবে এই নায়িকার বিষয়ে নজর কারা একটি তথ্য হলো তিনি মহানায়ক উত্তম কুমারের আত্মীয়া। উত্তম কুমারের নাতি সৌরভের স্ত্রী। আবার নি
জে একটি জনপ্রিয় ক্যাফের মালকিন। কিন্তু আলোচ্য বিষয় হলো এত বড় পরিবারের সদস্য হয়েও বরাবর ত্বরিতাকে পার্শ্ব চরিত্রেই দেখা যায় অভিনয় করতে।
এই নায়িকার রূপ এবং গুণ দুটোই রয়েছে। তাহলে কেন শুধুমাত্র পার্শ্ব চরিত্র? তাহলে কি? টলিউডের স্বজনপোষণের শিকার হয়েছেন তিনি? এ বিষয়ে এক সংবাদমাধ্যম যোগাযোগ করেছিল নায়িকা সঙ্গে।
নায়িকা খোলাখুলি বলেছেন যে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ যে আসেনি তা নয়, বহুবার সেই প্রস্তাব পেয়েছেন তিনি। তবে প্রত্যেকবার সেই প্রতিটি প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন ত্বরিতা। কেনো? কারণ হলো একমাত্র লক্ষ্য ছিল পড়াশোনা।
ত্বরিতা এটাও জানিয়েছেন যে তিনি যে চরিত্রগুলি ফিরিয়ে দিয়েছেন তার জন্য বিন্দুমাত্র আফসোস নেই জীবনে। টেলিভিশনে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করার লোভ কোনকালেই ছিল না তাঁর। তবে অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি তিনি এক ঐতিহ্যবাহী পরিবারের বৌমা।
তাই উত্তম কুমারের বাড়ির যোগ্য বৌমা হয়ে উঠতে কোনরকম ত্রুটি রাখেন না ত্বরিতা। যেখানে এই পরিবারকে মানুষ অভিনয়ের মধ্যে দিয়েই চেনে সেখানে নিজের অভিনয়কে আরো দৃঢ় করে তুলতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছেন কাদম্বিনী, তুমি আসবে বলে, জড়োয়ার ঝুমকো, কড়ি খেলা, রাসমণি, বাঘ বন্দী খেলা, দেবী চৌধুরাণীর নায়িকা ত্বরিতা।