ধারাবাহিকের মূলত ইনডোর শুটিং অথবা বড়জোর গ্রাম বাংলার বিভিন্ন জায়গায় শুটিং হয় কাজের ধরন অনুসারে। তবে রাজ্যের বাইরে শুটিং করতে যাওয়া খুব একটা দেখানো হয় না বাংলা ধারাবাহিকে, এর প্রধান কারণ হচ্ছে বাজেট। সেই সঙ্গে এই ধারাবাহিক গুলো মা কাকিমারা দেখেন তাই বিদেশে বা রাজ্যের বাইরে নিয়ে গিয়ে ঝাঁ চকচকে দামি লোকেশনে শুট করার মত গল্প কিছু নেই।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আউটডোর শুটিংয়ের প্রয়োজন হয়ে পড়ে এই যেমন বর্তমানে স্টার জলসার দুটো ধারাবাহিকে আউটডোর শুটিং হচ্ছে। আজকে সকালেই আমরা জানতে পেরেছি ধুলোকণার শুটিং এবার হচ্ছে পুরীতে এবং সকলেই চলে গেছে সেখানে। আর তারপরেই আমরা দেখতে পেলাম গাঁটছড়া পরিবারের সদস্যরা প্লেনে চেপে বসেছে এবং রাজ্যের বাইরে কোথাও শুট করতে গেছেন তারা যেখানে জঙ্গল এবং পাহাড় রয়েছে। এটা তো গেল স্টার জলসার কথা।
জি বাংলা কি এখন বাইরে কোথাও শুট করছে? এখন জি বাংলার বাইরের কোনো শুটিং নেই তবে নিন্দুকেরা বলছেন বাইরে শুটিং করে লাভ কী? যাবে তো সেই দীঘা মন্দারমণি তাজপুর। এভাবে স্টার জলসার কিছু ভক্ত অপমান করছে জি বাংলাকে।
তাদের দাবি যে একমাত্র মিঠাইয়ের আউটডোর শুটিং হয়েছিল পাহাড়ে। তা বাদে বাংলা সিরিয়ালে বিশেষ করে জি বাংলার সিরিয়াল গুলোতে হানিমুন বলতে তো সেই সেই দীঘা মন্দারমণি আর তাজপুরেই শুটিং হয়। এমন কি উমা ধারাবাহিকের আচার্য পরিবার এত বড়লোক অথচ সকলে মিলে গেল কোথায়? মন্দারমণিতে। আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয় তো দেখানো হয়েছে তাজপুর তবে সেটা মানা যায় কারণ সরকার পরিবার অতটা অবস্থাপন্ন নয় যে, দামী জায়গায় ঘুরতে যাবে। পিলুতে প্রথমে পুরুলিয়ার পাহাড়ি অঞ্চল দেখানো হয়েছিল তবে এখন সেখানে একদম শুট হয় না। যে জঙ্গলের মধ্যে পিলুর গলায় মালা ছুঁড়ে দিয়েছিল আহির সেটা আসলে কলকাতার নলবন ছিল। গৌরী এলোতে ও গ্রামবাংলায় শুটিং করা হয়েছে। সাম্প্রতিক চলা সিরিয়ালগুলোর মধ্যে আর কোথাও তেমন আউটডোর শুটিং হয়নি।
স্টার জলসা এখন একসাথে দুটো প্রাইম টাইমের ধারাবাহিককে আউটডোর শুট করাচ্ছে। এটা অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ধারাবাহিকের প্রোডাকশনের সিদ্ধান্ত কিন্তু দর্শক তো অত বোঝেনা তারা চ্যানেল ভার্সেস চ্যানেলের লড়াই করছে।