জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“পাপ বাপকেও ছাড়ে না…কর্মফল এভাবেই একদিন ঘুরে আসে, উজি সেটার উদাহরণ!” ” দিদি হয়ে ‘মিঠিঝোরা’তে বোনের জীবন নষ্ট করেছিল, ‘জোয়ার ভাঁটা’য় বোন হয়ে সেটার ফল পেয়েছে!”— আগের চরিত্রে জোর করে বিয়ে করানো, এবার নিজেই সেই ফাঁদে আরাত্রিকা! সমাজ মাধ্যমে চলছে জোর বিদ্রুপ!

জি বাংলার দর্শকদের কাছে ‘মিঠিঝোরা’ (Mithijhora) ধারাবাহিকটি শুরুর দিকে ছিল আবেগময় গল্প— এক দিদির আত্মত্যাগ, ভালোবাসা আর দায়িত্ববোধের কাহিনি। যদিও শেষের দিকে অনেকটাই একঘেয়ে আর বিতর্কিত হয়ে উঠেছিল। এই ধারাবাহিকে বড় দিদি ‘রাই’ চরিত্রে আরাত্রিকা মাইতি (Aratrika Maity) তখন দর্শকদের মনে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছিলেন। গল্পের শুরুতেই বিয়ের সাজে রাই যখন বরের অপেক্ষা করছে, তখনই তার জীবনে নামে অন্ধকার— অসুস্থ বাবার মৃ’ত্যুসংবাদ। এক নিমেষে বদলে যায় সমস্ত চিত্রনাট্য।

নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে বোন নীলুর হাতে নিজের হবু বর শৌর্যের হাত তুলে দেয় রাই। দর্শক তখন কেঁদেছিলেন রাইয়ের সঙ্গে, এক দিদির এমন নিঃস্বার্থ সিদ্ধান্ত দেখে।আবার অনেকেই কটাক্ষ করেছিলেন, মত না নিয়ে বোনের উপর এতবড় সিদ্ধান্তটা চাপিয়ে দেওয়া উচিত হয়নি। তবে নীলু কিন্তু কখনওই চায়নি দিদির ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করতে। স্বাধীনচেতা সেই মেয়েটি জানত, দিদির জায়গা নেওয়া তার পক্ষে অসম্ভব। তবুও দিদির মুখের অনুরোধ ফেলতে পারেনি সে।

কিন্তু সেই বিয়েতে সুখ আসেনি, সম্পর্ক টেকেনি, আর ‘মিঠিঝোরা’-র কাহিনি শেষ হয়েছিল তীব্র এক বেদনায়। এরপর জি বাংলার পর্দায় শুরু হয়েছে ‘জোয়ার ভাঁটা’ (Jowar Bhanta), যেখানে আবারও দেখা গেছে আরাত্রিকা মাইতিকে, তবে এবার চরিত্র বদলে। আগের ধারাবাহিকের ‘বড়দিদি’ এবার ‘ছোট বোন’। তাঁর দিদির চরিত্রে রয়েছেন শ্রুতি দাস। এই গল্পেও দেখা যাচ্ছে আবারও বিয়ের দিন, বাবার মৃ’ত্যুর ছায়া আর ভাগ্যের নির্মম খেলা। এখানে বাবার মৃ’ত্যুর জন্য নিশা (শ্রুতি দাস) দায়ী মনে করে ব্যবসায়ী ঋষিকে।

প্রতিশোধ নিতে ছদ্মবেশে কলকাতায় আসে সে, বোন উজি (আরাত্রিকা মাইতি)-র সঙ্গে ঋষির বিয়ে ঠিক করে এবং পরিকল্পনা করে বিয়ের দিন সব লুট করে পালানোর। কিন্তু ভাগ্যের ফের— উজির বিয়েই হয়ে যায় সেই ঋষির সঙ্গে! দর্শকরা দুই ধারাবাহিককে মিলিয়ে দেখছেন বেশ কৌতুকের চোখে। কেউ কেউ বলছেন, “আগের সিরিয়ালে সে বড়দিদি হয়ে বোনের জীবন নষ্ট করেছিল, জোর করে অপছন্দের পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিল। এখন সেই বোন হয়ে দিদির চাপে পড়ে বিয়েটা করতে বাধ্য হয়েছে—এ যেন প্রকৃতির বিচার!”

অনেকেই মনে করছেন, এই তুলনা অনিচ্ছাকৃত হলেও বেশ মজার, যেন দুই গল্পের মধ্যে এক অদৃশ্য যোগসূত্র তৈরি হয়ে গেছে। একদিকে ‘মিঠিঝোরা’-র আত্মত্যাগের গল্প, অন্যদিকে ‘জোয়ার ভাঁটা’-র প্রতিশোধ আর নিয়তির পালাবদল— দুই ধারাবাহিকের ভেতর এই সম্পর্কের টানাপোড়েনই যেন দর্শকদের টানছে বারবার। সমাজ মাধ্যমে চলছে নানা মজার পোস্ট, কেউ লিখছেন “উজি পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছে”, কেউ বা বলছেন “দিদির কষ্ট এবার বোনের ঘাড়ে।” টেলিভিশনের পর্দায় চরিত্র বদলালেও, আবেগের গভীরতা যেন একইভাবে ছুঁয়ে যাচ্ছে দর্শকদের মন।

Piya Chanda