জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

সবার বিয়ে হয়ে বাচ্চা হয়ে গেল, কিন্তু তুবড়ি আর অর্জুনের এখনো ফুলশয্যা হতে পারল না! ‘এত স্লো ধারাবাহিক কী করে দেখায়?’ হাই তুলছেন নেটিজেনরা

বর্তমানে জি বাংলায় নতুন শুরু হওয়া ধারাবাহিকগুলোর মধ্যে যে ধারাবাহিক সবচেয়ে মানুষের বিরক্ত করছে তা হল উড়ন তুবড়ি। ধারাবাহিকের প্রধান যে নায়ক-নায়িকা সেই স্বস্তিক ঘোষ এবং সোহিনী ব্যানার্জি একটুও অভিনয় করতে পারেন না। অনামিকা চক্রবর্তী চেষ্টা করছেন আর আপ্রাণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন রীতা দত্ত চক্রবর্তী। এই স্বভাবে কল্যাণী মন্ডল ভালো অভিনয় করছেন কিন্তু মূল চরিত্রই যদি এত বাজে অভিনয় করে তাহলে ধারাবাহিক হিট হবে কী করে প্রশ্ন তুলছেন নেটিজেনরা।

অর্জুন আর তুবড়ির বিয়ের প্রোমো দেখানো হয়েছিল বহু দিন আগে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিয়ের তিনদিন তাদের কাটতে পারলো না। এখনো চলছে ফুলশয্যার রাত যেখানে নিশা অর্জুনকে নিয়ে নাইট ক্লাবে গেছে অর্জুনের মায়ের দুষ্টু বুদ্ধিতে। যে তুবরির কথা ছিল যে সে মায়ের দুই বোনের সাহায্য করবে এবং চাকরি করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে সে এখন অর্জুনদের বাড়ির সেরা বউ হওয়ার লড়াইয়ে নেমেছে।কিভাবে অর্জুনের মায়ের মুখোশ অর্জুনের সামনে খুলে দেওয়া যায় সেটাই সে ভেবে যাচ্ছে আর অর্জুনের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক ঠিক করার চেষ্টা করছে। বড় বড় ডায়লগ রয়েছে তার কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করতে পারছে না।

অর্জুনের উপর তিতিবিরক্ত দর্শকরা। স্বস্তিক ঘোষের অভিনয় মোটেই ভালো নয়। তার উপর অর্জুন চরিত্রটি ভীষণ বিরক্তিকর। প্রথমে সে নিজে থেকে তুবড়িকে ভালোবাসলো।জোর করে তুবড়িকে বিয়ে করলো, তারপর বাড়িতে আনার পরেই সে মায়ের বাধ্য ছেলে হয়ে গেল।নিজের কোনো রকম স্ট্যান্ড পয়েন্ট নেই তার তাহলে তুবড়ির জীবনটা নষ্ট করতে গেলি কেন? প্রশ্ন করছেন নেটিজেনরা। তুবড়ি পরবর্তীকালে অর্জুনকে ভালোবেসে ফেললেও তাকে বিয়ে তো করতে চায়নি।

এত স্লো ধারাবাহিক কিন্তু তবুও টিআরপিতে গঙ্গারামকে হারাচ্ছে শুধুমাত্র গঙ্গারামের চিত্রনাট্যের দুর্বলতার জন্যই আর কোনো কারণ নেই।তাই এই ধারাবাহিকের রাত সাড়ে দশটায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বেশ হয়েছে বলে দাবি করছেন দর্শকরা।

Piya Chanda