বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় এই মুহূর্তে জগদ্ধাত্রী (Jagaddhatri) ধারাবাহিকটি দর্শকদের কাছে অন্যতম পছন্দের একটি ধারাবাহিক। দর্শকরা চান। চরম রকম অ্যাকশনে পরিপূর্ণ এই ধারাবাহিকটি বাঙালির ভীষণ প্রিয়। আর সেই কারণেই তো টিআরপি তালিকায় কখনও এক বা কখনও দুই নম্বর স্থানে থাকে এই ধারাবাহিকটি।
এই ধারাবাহিকটিতে তথাকথিত নায়িকাসুলভ ঘ্যানঘ্যানানি প্যানপ্যানানি নেই। বরং রয়েছে এক তেজী নারীর গল্প এবং তাকে নিচে নামানোর জন্য অসংখ্য শত্রু। যদিও তার পাশে রয়েছে আরও এক বলিষ্ঠ নারী। যিনি সব সময় আড়াল করে রেখেছেন এই ধারাবাহিকের নায়িকাকে। এই ধারাবাহিকের নায়িকা জগদ্ধাত্রী বা জ্যাস সান্যাল। যিনি জগদ্ধাত্রী রূপে বাড়ির বউ। আবার জ্যাস সান্যাল রূপে অপরাধীদের ত্রাস।
অপরাধ করে জ্যাসের সামনে দিয়ে পালানোর ক্ষমতা কারোর নেই। ধরে ধরে অপরাধীদের শাস্তি দেয় সে। আর সেই কারণেই অপরাধীদের চোখে জ্যাস ক্রমশই বড় বিপদ হয়ে উঠছে আর তাই বিপদকে ছেঁটে ফেলাই ভালো। এই ধারাবাহিকে ভিলেন হল জ্যাসের প্রাক্তন প্রেমিক তথা বর্তমানে দেওর এমনকি বোনের বর উৎসব। যদিও দিদির খারাপ চাইতে পিছু হটে না মেহেন্দিও।
এই দুজনেই জ্যাস এবং তার স্বামী স্বয়ম্ভুকে এই মুহূর্তে আলাদা করে দিতে তৎপর। এখানেই শেষ নয় জগদ্ধাত্রীর অন্যতম রক্ষাকবচ তথা ননদ কৌশিকীকেও সরিয়ে ফেলতে তৎপর তারা কারণ মুখার্জি পরিবারের ব্যবসার মাথায় বসে রয়েছে কৌশিকী। আর তার অন্যতম হাত জগদ্ধাত্রী। আর এই দুজনকে সরিয়ে দিতে পারলেই উৎসব এবং মেহেন্দি মুখার্জি পরিবারের ব্যবসার মাথায় বসতে পারবে।
তবে কিভাবে এ জগদ্ধাত্রীকে সরানো যাবে? কারণ পেশাগত জায়গায় জ্যাসের সমকক্ষ আর কেউ নেই। আর তাই মিথ্যের সাহায্য নিয়েছে উৎসব এবং মেহেন্দি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি বা এ আই পদ্ধতির সাহায্য নিয়ে জগদ্ধাত্রীকে মিথ্যে দুর্নীতি কান্ডে জড়িয়ে তাকে সাসপেন্ড করানোর চেষ্টা করছে এই দুজন। নিজেদের কাকাকে তারা ইতিমধ্যেই সেই প্ল্যানের অংশ বানিয়ে ফেলেছে। উৎসব এবং মেহেন্দির এই নোংরা খেলার জাল কি ছিঁড়তে পারবে মেহেন্দি?