Kar Kache Koi Moner Kotha Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) যে সমস্ত ধারাবাহিকগুলোর তাদের ব্যতিক্রম কাহিনীর জন্য শুরুর থেকেই দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিল তাদের মধ্যে অন্যতম অর্গানিক স্টুডিওর প্রযোজিত ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha)। শুরুর থেকেই ধারাবাহিকটি কাহিনী দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল দর্শকদের। একবারে ভিন্ন স্বাদের কাহিনী যেখানে নায়কেই মূলত দেখা গেছে খলনায়কের ভূমিকায়।
তবে দর্শকদের মনে সেইভাবে কখনও দাগ কাটতে পারেনি ধারাবাহিকটি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধারাবাহিকে এসেছে নানান চমক। শুধু শিমুলই নয়, শিমুলের বান্ধবী বিপাশা, সুচরিতা, শীর্ষা, শিমুলের ননদ পুতুল সকলের জীবনেই এসেছে চমক। মাঝে ধারাবাহিকের নতুন চমকের কারণে বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে ধারাবাহিকের গল্প ফলে বেড়েছিল টিআরপি কিন্তু ফের অনুরাগের ছোঁয়ার বিপরীতে পরাজিত হতে থাকে কার কাছে কই মনের কথা। তার বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ধারাবাহিকটিকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে চ্যানেল।
কার কাছে কই মনের কথা অন্তিম পর্ব ২১ জুন (Kar Kache Koi Moner Kotha Last Episode 21 June)
তবে বর্তমানে ধারাবাহিকের এসেছে অনেক পরিবর্তন। ইতিমধ্যেই প্রতীক্ষার সমস্ত সত্যিটা জেনে প্রতীক্ষাকে ডিভোর্স দেওয়া সিদ্ধান্ত নেয় পলাশ। এদিকে ভুল বোঝাবুঝির কারণে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যায় শীর্ষা। এদিকে বিয়ে হয়ে যায় তুতুলের। তুতুলের বিয়ের পর কেটে যায় তিন তিনটে বছর। এরপরই একদিন একটি ক্যাফেতে দেখা করে সকলে। প্রথমেই আসে বিপাশা, শিমুল আর পুতুল। শিমুল জানায় বর্তমানে পুতুল একজন স্বনামধন্য গায়িকা। গান গাওয়ার জন্য পুতুলকে ডাক এসেছে বিদেশ থেকে।
সঞ্জয়কে বিয়ে করে সুখে সংসার করছে সুচরিতা, সন্তানসম্ভবা শীর্ষা
এরপরই চলে আসে শীর্ষা আর সুচরিতার। শীর্ষাকে দেখেই বসতে বলে শিমুল। শীর্ষা জানান এখন সে অনেক ভালো আছে। বিশ্বদীপের সঙ্গে সমস্ত মান অভিমানের পালাও মিটে গেছে তার। এখন আর চাকরি করা নিয়ে তাকে কোন সমস্যা নেই তার শ্বশুরবাড়িতে। এমনকি বিশ্বদীপও এখনও আর তাকে কিছু বলবে বরং আগের থেকেই বেশি ভালোবাসে। সে এখন সন্তানসম্ভবা।সুচরিতার জীবনেও সমস্ত সমস্যার মিটে গেছে। সঞ্জনের সঙ্গে বিদেশে এখন সে খুব খুশি দিন কাটাচ্ছে। তার মেয়ের যে তাদের বিয়ে নিয়ে এত সমস্যা ছিল সেই মেয়েই এখন সঞ্জয়কে ছাড়া এক মুহুর্তও থাকতে পারে না।
আরো পড়ুন: ফুলকির কাছে হেরে ভূত পর্ণা, জগদ্ধাত্রী, কত নম্বর পেল কথা আর শ্যামলী? শেষেবেলায় বিজয়ী কোজাগরী বসু
পরাগ আর শিমুলের জীবনে আসছে নতুন সদস্য
বিপাশাও জানায় এখন দিব্যি সুখে আছে সে। মুম্বাইয়ের একটি নামকরা অফিসে এইচআর-এর চাকরি পেয়েছে সে। এগিয়ে গেছে তার নতুন জীবন। আর শিমুল? সুখে শান্তিতে সংসার করছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যানার্জি বাড়িরও ভোল পাল্টে গেছে। মধুবালা দেবীকেও এখন আর বেশী খাটতে হয়না। তার জন্যও লোক রেখেছে শিমুল। আবার বিয়ে হয়েছে পলাশের। নতুন বউ খুব মিষ্টি। জা, শাশুড়ী সবাইকে খুব ভালোবাসে। এরই মাঝে সবচেয়ে খুশির খবর পরাগ-শিমুলের জীবনে। মা হচ্ছে শিমুল। আনন্দ, দুঃখ, হাসি, কান্না, লড়াই পেরিয়ে জয়ের হাসি হেসে শেষ হল বন্ধুত্বের গল্প কার কাছে কই মনের কথা।