জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha) হাসপাতাল থেকে সকলেই চলে আসে ব্যানার্জী বাড়িতে। সেখানেই আসার পরই থেকেই শিমুলকে নানাভাবে অপমান করতে শুরু করে পলাশ। তখন তার প্রতিবাদ করে মধুবালা দেবী বলে শিমুল তাদের জন্য অনেক করেছে, তাদের পরিবারের খেয়াল রেখেতে। সবাইকে সামলেছে। এমনকি পরাগের অ্যাকসিডেন্টে শিমুল গিয়েই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে। শিমুল যদি না থাকতো তাহলে হয়তো পরাগের কি হতো কেউ জানে না।
তখন তার প্রতিবাদ করে পলাশ। সে বলে কিভাবে একজন বাইরের মেয়ে হয়ে শিমুল এত বাড়াবাড়ি করতে পারে। শিমুল তখন খানিকটা বিরক্ত হয়ে বলে তার যা করার সে করেছে এখন যদি পলাশের সমস্যা হয় সে থানায় গিয়ে তার নামে অভিযোগ করতে পারে। বা তার যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। সেটা শুনে সুচরিতাও বলে ওঠে যা ইচ্ছে তাই করবে মানে শিমুল কি কিছু ভুল করেছে নাকি। সে যা করেছে একজনের জীবন বাঁচাতে করেছে আর তাতে কোনও ভুল নেই তাই তাকে কেউ কিছু বলতে পারেনা এইভাবে।
সেটা শুনে তীর্থঙ্করও বলে ওঠে আমি শিমুলের এইভাবে অপমান সহ্য করব না। তার জন্য আমি আমার পুতুলকে পেয়েছি তাকে এইভাবে অপমান করতে দেব না। সেটা শুনে পলাশ বলে “তুমি এই বাড়ির একদিনের জামাই হয়ে এত বড় বড় কথা বলছ। কি করবে ওকে দিয়ে টাকা কমবে।” সেটা শুনেই রেগে যায় তীর্থ, সে হুশিয়ারি দিয়ে বলে “তুমি হয়তো ভুলে যাচ্ছ প্রতীক্ষা আমার গার্লফ্রেন্ড ছিল তাই ওর সব ভিডিও এখনও আমার কাছেই আছে সেগুলি যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেই তাহলে কি হবে বুঝতে পারছ তো।” সে কথা শুনেই চুপ হয়ে যায় পলাশ।
তীর্থ আবার বলে একজন মেয়েকে অপমান করলে আমি তোমাদেরও ছাড়বো না। বিপাশাও তখন বলে ওঠে “তুমি হয়তো ভুলে গেছো আমি কে! আমি চাইলে পাড়ার লোক জড়ো করে তোমায় পাড়া ছাড়া করতে পারি।” তখন পলাশ বলে “এটা তো আমার বাড়ি আমায় এখান থেকে বের কারা তুমি কে? কিন্তু শিমুল এখানে ডিভোর্সের পর কি করছে।” সুচরিতা তখন বলে “প্রতীক্ষা এই পাড়ায় এলে তাকে তো লোকে আসামি বলে ছি ছি করবে, শিমুল তো বেকসুর খালাস পেয়েছেন।” তখন আর কিছু বলে না পলাশ। সকলে মিলে পুতুলের বিদায়ের আশীর্বাদ শুরু করে।
আরো পড়ুন: অনন্য অভিনয়! পুতুলের অনবদ্য অভিনয় দেখে চোখে জল দর্শকদের! নেট মাধ্যমে প্রশংসার ঝড়! আপনাদের কেমন লাগল?
অঝোরে কাঁদতে থাকে পুতুল। সেটা দেখে তীর্থঙ্করের বউদি বলে পুতুল নাটক করছে, কিন্তু তীর্থর দাদা বলে “এসব তুমিও করেছ।” তখন রঞ্জা চুপ হয়ে যায়। মধুবালা তির্থকে বলেন পুতুলকে দেখে রাখতে তখন তীর্থ বলে আপনি নিজেই শুনে নিয়েন কেন রেখেছি। শিমুল আশীর্বাদ করতে এলে পুতুল তাকে বলে বৌভাতে যেতে, শিমুল বলে সে নিশ্চয় যাবে। তখন সকলেই খুশি হয়ে যায়। তীর্থ পুতুলকে বলে কান্নাকাটি না করতে। কিন্তু কনকাঞ্জলি দেওয়ার সময় শিমুল তার প্রতিবাদ করে বলে মা বাবার ঋণ এইভাবে শোধ হয়না তাই এই নিয়ম হবে না। তারপর পুতুলকে বেরিয়ে যায় বাড়ি থেকে। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের কেমন হবে পুতুলের আগামী জীবন?