বর্তমানে বিনোদনের জগতে দুই চ্যানেলের মধ্যে টক্করটা জোরদার। স্টার জলসা এবং জি বাংলা। দুটো চ্যানেলের কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য আছে। স্টার জলসা যেমন একটু ক্রাইম থ্রিলার টাইপের গল্প দেখায় আবার জি বাংলা মানেই তাতে বাঙালিয়ানা ভরপুর থাকবে।
তবে এবার মিঠাই সিরিয়ালে যে জিনিসটা দেখানো হবে সেটা দেখে অনেকের আপত্তি উঠেছে। মিঠাইতে গোপাল কতটা গুরুত্বপূর্ণ আমরা জানি আর জন্মাষ্টমী উৎসব কতটা ধুমধাম করে হয়েছে সেটাও আমরা দেখতে পাচ্ছি।কিন্তু একটা জিনিস দেখে একটু হলেও অবাক হয়েছেন নেটিজেনরা কারণ অবাঙালি একটা প্রথা এখানে জন্মাষ্টমীতে রাখা হয়েছে যেটা সাধারণত হিন্দি সিরিয়াল আর সিনেমাতেই আমরা দেখে থাকি।
মটকা ফোড়া অর্থাৎ হাড্ডি ভাঙ্গা অবাঙালিদের একটা বড়সড় প্রথা বলা যেতে পারে। জন্মাষ্টমীর সময় সবাই দহি হাণ্ডি ভাঙ্গে। পাড়ার মধ্যে একটা উঁচু জায়গায় একটা হাঁড়ি ঝোলানো হয় যার মধ্যে মাখন থাকে। সেটাকে বেঁধে দেওয়া হয় উঁচুতে এবং একজন গিয়ে অনেকের কাঁধের উপর দিয়ে উঠে সেই মটকা ভাঙ্গে। এবার ঠিক এই জিনিসটাই দেখানো হবে মিঠাই তে।
মিঠাইতে সমস্ত অনুষ্ঠান পালন করা হয় ঠিকই কিন্তু এইটা এই বছরের নতুন সংযোজন হলো। এটা নিয়েই একটু বিতর্ক তৈরি হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় কারণ মিঠাই সিরিয়াল তো পুরো বাঙালিয়ানায় ভরপুর এবং এখানকার চরিত্ররাও বাঙ্গালীদের মতোই সেজে থাকে।শুধুমাত্র পিংকিজি অবাঙালিদের মতো সাজে কিন্তু এই দহি হাণ্ডি ভাঙার এপিসোডে তো পিংকিজি নেই। তাহলে এখানে এটা দেখানোর কি খুব দরকার ছিল?
তাহলে তো অবাঙ্গালীর যত অনুষ্ঠান রয়েছে বা তাদের খাওয়ার দাওয়ার, সাজ পোশাক সব দেখালেই পারে। মিঠাই হিসাবে অবাঙালিদের মিষ্টি বানানো দেখাতে পারে শুধু বাঙালি মিষ্টি দেখানোর কি দরকার? গ্লোবালাইজেশন ভালো জিনিস কিন্তু হিন্দি কোন কিছুর অনুকরণ একটু বয়স্ক দর্শকরা ভালোভাবে মেনে নিতে পারেননি।
ইয়ং জেনারেশনের আবার আলাদা বক্তব্য। তাদের মতো এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ আর ধ্যানধারণা অনেক পাল্টেছে তাই যদি দহি হাণ্ডি ফাটানো হয়,এতে ভয়ংকর কোনো অপরাধ তো করে ফেলেনি কেউ। ভগবান কে অপমানও করা হয়নি। সব সময় সব কিছু সংস্কৃতির দোহাই দিয়ে চলেনা।