বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় এমন কিছু ধারাবাহিক সৃষ্টি হয়ে যায় যেগুলো দর্শক চাইলেও ভুলতে পারে না। সেগুলোর মূল কারণ হলো হয় গল্পের জোর আর তা না হলে নায়ক বা নায়িকাদের অভিনয় দক্ষতা। আজ হতো চরিত্র নাই গল্পের কথা বলে তাই চরিত্ররাই বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে স্মৃতিতে থেকে যায়।
এমন একটি চরিত্র ছিল কেয়ার করি না ধারাবাহিকের কৃষ্ণেন্দু। ২০১২ সালে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিক সেই সময় ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। আর এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন নবাগত অভিনেতা ফারহান ইমরোজি।
ফারহানের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন মধুমিতা সরকার। তিনিও আজকের সুপ্রতিষ্ঠিত একজন নায়ক। কৃষ্ণেন্দু আর জুহির প্রেম কাহিনী তখন ঝড় তুলেছিল বাংলা টেলিভিশনের পর্দায়। ধারাবাহিক দুজনেই ডাক্তারের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ফারহানের অভিনয়ের প্রতিভার গুনে মুগ্ধ হয়েছিল বাঙালি দর্শক।
এরপর একের পর এক ‘কানামাছি’ , ‘কিরণমালা’, ‘তবু মনে রেখো’ ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করে গিয়েছেন ফারহান। সবকটিতেই হিট হয়েছেন তিনি আর সেই সঙ্গে হিট হয়েছে সেই ধারাবাহিক। এরপর হঠাৎ করেই অভিনয়ের মোড় ঘুরে যায় বড় পর্দার দিকে। সুযোগ পেয়ে গেলেন সম্প্রতি সময়ের জনপ্রিয় সিনেমা সোয়েটারে।
‘সোয়েটার’ ও ‘কে তুমি নন্দিনী’তে নিজেকে বড় মাপের অভিনেতা হিসেবে পরিচয় দিলেন ফারহান। এর মাঝেই আবার অভিনেত্রী প্রত্যুষা পালের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল নায়কের। সে সম্পর্কের কথা দুজনেই প্রকাশ্যে এনেছিলেন দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে। কিন্তু সম্পর্কটি কোন কারণে আর দীর্ঘস্থায়ী হতে পারেনি।
অভিনেত্রী প্রত্যুষা পালের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর থেকে ইন্ডাস্ট্রি থেকে প্রায় হারিয়ে গিয়েছেন এই সুদক্ষ অভিনেতা। বেশ কয়েকটা বছর দশকরা বেশ মিস করেছে পর্দায় এই মিষ্টি হাসির অভিনেতাকে।
বহুদিন বাদে পর্দায় ফিরে এলেও এবার আর তিনি নায়ক হতে পারেননি। ‘ভাগ্যলক্ষ্মী’ ধারাবাহিকের নায়কের ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করে আবার দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন ফারহান। কিন্তু অনুরাগীরা তাঁকে বরাবর দেখতে চেয়েছিল নায়ক হিসাবে। সেটা রাখতে পারলেন না তিনি।