আমাদের ধারাবাহিকে এমন অনেক বিষয় দেখা যায় যেগুলো হয়তো একদম নতুন। তবে নতুন বিষয় এবং সামাজিক শিক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে এগিয়ে রয়েছে জি বাংলার ধারাবাহিক। অন্ততঃ এরকমটাই মনে করেন অধিকাংশ মানুষ।স্টার জলসার ধারাবাহিকে পারিবারিক বিষয় দেখানো হয় ঠিকই কিন্তু সেখানে অনেক বেশি নেগেটিভিটির সমাহার। এই অনেকেই স্টার জলসার থেকে জি বাংলার ধারাবাহিক দেখতে পছন্দ করেন। বর্তমানে জি বাংলার যে ধারাবাহিকটি দর্শকদের মনে ঝড় তুলেছে সেটা হল গৌরী এলো।
গৌরী এলো ধারাবাহিকটি খুবই ধার্মিক বিষয়ের ওপর তৈরি তবে এখানে কিন্তু কোন কুসংস্কারের জায়গা নেই।ভগবানের উপর গৌরির অগাধ বিশ্বাসের গল্প রয়েছে কিন্তু কোনোরকম অন্ধকারাচ্ছন্ন কুসংস্কার বা অন্যায় কাজ ভগবানের নামে সে করে না। সে মায়ের খুব বড় ভক্ত। সব কাজ সে মা’কে বলে করে। সে আসলে মা কালীর অংশ।
অন্যদিকে ভাগ্যের ফেরে তার বিয়ে হয়ে যায় ডক্টর ঈশান ঘোষালের সঙ্গে যে কিনা ঠাকুর দেবতায় বিশ্বাসই করে না।ঈশানদের বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত ঘোমটা কালীর মূর্তি রয়েছে এবং কথিত রয়েছে যে যেদিন মহাদেব এবং গৌরীর মিলন হবে সেদিন ঘোমটা কালীর ঘোমটা উঠবে।তবে ঈশানের পিসি শৈল মা নিজেকে ভগবানের অংশ দাবি করে অনেক কুকীর্তি করেন আর তাকে সঙ্গ দেয় ঈশানের দাদু।
গৌরীর সঙ্গে এখন মূল লড়াই টা হলো শৈল মা’র। গৌরী ওই বাড়িতে বিয়ে করে আসার পর শৈল মা বুঝতে পারছে তার অসহায় মানুষদের উপর নিজের রাজত্ব বেশিদিন টিকবে না।গৌরী আর ঈশানকে আলাদা করার জন্য অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছে শৈল মা কিন্তু প্রত্যেকবার মায়ের আশীর্বাদে গৌরী বেঁচে যাচ্ছে।
অন্যদিকে অষ্টমঙ্গলা করতে চৌপাহাড়ি গ্রামে গেছে ঈশান আর গৌরী আর সেখানে সনাতন সাঁপুইকে ভালোভাবে টাইট দিয়েছে ঈশান। এইপ্রথম কোনও বাংলা ধারাবাহিকে দেখা গেল নায়ক ত্রিশূল হাতে লড়াই করছে শত্রুদের সঙ্গে।
এতদিন পর্যন্ত আমরা নায়িকাদের দেখে এসেছি ত্রিশূল হাতে মা দুর্গার রূপ ধরে শত্রুদের বিনাশ করতে কিন্তু এবার মহাদেব হয়ে ত্রিশূল হাতে দুষ্কৃতীদের সংহারকারী হয়ে উঠল ঈশান। তার সেই রুদ্রদেব রূপ দেখে ভয়ে কাঁপছে সকলে।