জি বাংলার ( Zee Bangla ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক আনন্দী ( Anondi ) মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে একের পর এক টুইস্টের মাধ্যমে। অন্বেষা এবং ঋত্বিকের জুটি। আনন্দী এবং আদিদেবের চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছেন। একজন নার্স এবং ডাক্তার হিসেবে এই জুটি দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। ধারাবাহিকের চমকপ্রদ কাহিনী এবং চরিত্রের আবেগঘন টানাপোড়েন দর্শকদের প্রতিটি পর্বে উত্তেজিত রাখছে।
গতকালের পর্বে দেখানো হয়েছিল, আনন্দীর বাবা মারা যাওয়ার পর আনন্দী ভেঙে পড়েছে। বাবা ছাড়া তার পৃথিবীতে কেউ নেই। তার নিজের দাদাও যেন শত্রুর মতো হয়ে উঠেছে, তাকে রকেটের সাথে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এতকিছুর পরেও আনন্দী লাহিড়ী বাড়িতে তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও অনেকেই তার উপস্থিতি নিয়ে অসন্তুষ্ট, আনন্দী জানিয়ে দেয় যে সে তার কাজ করতে এসেছে এবং তার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবে না।

আনন্দী আজকের পর্ব ১২ই অক্টোবর (Anondi Today Episode 12th October)
আজকের পর্বে দেখানো হবে, বাবার মৃত্যুর পর আদিদেব নার্সিংহোমে আর যায়নি, যা দেখে অনিরুদ্ধ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। বিজয়ার উপর রাগ করে ঝাড়তে থাকে। মাকে অপমানিত হতে দেখে আদিদেব এগিয়ে আসে এবং বাবার সাথে কথা বলে। সে জানিয়ে দেয়, নার্সিংহোমের আগের দিনের ঘটনার পর সে আর সেখানে যাবে না। এই কথা শুনে অনিরুদ্ধ এবং নন্দিনী দুজনেই রেগে যায়। অন্যদিকে, আনন্দী কাজে এসেছে ঠিকই, কিন্তু তার মন খুব খারাপ। তার অভ্যন্তরীণ কষ্ট ঠাম্মি বুঝতে পারে এবং আনন্দীকে কথা বলার জন্য জোর করতে থাকে।
ঠাম্মির সাথে আনন্দী শেষমেশ কথা বলে তার দাদার রকেটের কাছ থেকে টাকা ধার নেওয়ার গল্প এবং টাকা শোধ না করতে পারার ফলে জোর করে বিয়ে দেওয়ার কথা জানায়। ঠাম্মি এসব শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এরপর আনন্দী ঠাম্মির ওষুধ আনতে যায়। নিচে, আদিদেব নার্সিংহোমে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে স্থির থাকে, তবে নন্দিনী তাকে নার্সিংহোমে ফিরে যাওয়ার জন্য জোর করতে থাকে।
আরও পড়ুনঃ বাড়ির পুজো বলে কথা! চারদিন বাড়িতেই কাটে হৈ হৈ করে…” দুর্গাপূজো কিভাবে কাটান অন্বেষা? জানালেন অভিনেত্রী
আদির বাবা ক্ষিপ্ত হয়ে আদির ওপর রাগ প্রকাশ করে। আদিদেব জানায়, নন্দিনী ইচ্ছে করে তার মাকে অপমান করেছে এবং সকলের সামনে ক্ষমা চাওয়াতে বাধ্য করেছে, যেখানে মায়ের কোনো দোষ ছিল না। তাই সে নার্সিংহোমে ফিরবে না। নন্দিনী এবার আইনি হুমকি দেয় যে, যদি আদিদেব নার্সিংহোমে না যায়, তাহলে সে আদির ডাক্তারির লাইসেন্স ক্যানসেল করে দেবে। এবার আদিদেব দোটানায় পড়ে যায়।