নতুন ধারাবাহিকগুলির মধ্যে দর্শকদের মনে দ্রুত জায়গা করে নিয়েছে জি বাংলার ( Zee Bangla ) ‘আনন্দী’ (Anondi )। ধারাবাহিকটি ধীরে ধীরে টিআরপি তালিকায় নিজেদের অবস্থান শক্ত করছে। প্রথম থেকেই দর্শকদের মনে জায়গা করে নেওয়া এই ধারাবাহিক।
গল্পের নায়ক-নায়িকা আদি ও আনন্দীর সম্পর্কের নানা টানাপোড়েন তুলে ধরা হচ্ছে, যা গল্পকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলছে। সম্প্রতি সম্প্রচারিত পর্বে দেখা গেছে, আনন্দী বাড়ির সকলের সামনে নিজের ভাত কাপড়ের দায়িত্ব নিতে চাইছে না, বরং আদির মন ভালো রাখার দায়িত্ব নিচ্ছে।

আনন্দী আজকের পর্ব ২৭ অক্টোবর (Anondi Today Episode 27 October)
আজকের পর্বে আনন্দি বাড়ির সকলকে নিজের হাতে রান্না করা পায়েস খাওয়ানোর আগে আদির অনুমতি নেয়। আদির প্রতি তার আন্তরিকতা স্পষ্ট, যেখানে সে জানায় নার্সিংয়ের কাজ চালিয়ে যেতে চায়। তবে আদির প্রতিক্রিয়া ছিল ভিন্ন। তিনি বলেন, “তুমি যা চাও, তা করতে পারো। তোমাকে কেউ বাধা দেবে না।” এ কথার পর বাড়ির পরিবেশের মধ্যে প্রেম ও বন্ধন আরও দৃঢ় হয়ে ওঠে। এই পর্বে আনন্দী বাড়ির সকলকে পায়েস খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে।
আনন্দি বাড়ির সকলের পরে আদিকেও পায়েস খাওয়াতে দেখা যায়। এরপর, বাড়ির ছেলেদের খাওয়া শেষে এক এক করে বাড়ির সব মেয়েরা খেতে বসে। কিন্তু আনন্দী লাহিড়ী বাড়ির দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, দিয়া এবং প্রহ্লাদকে একসাথে খেতে বসানোর জন্য চাপ দেয়। এক্ষেত্রে অয়ন্তিকার বিরোধিতা থাকলেও, ঠাম্মির হস্তক্ষেপে সবাই এক টেবিলে খেতে বসে। এ দৃশ্যে আনন্দীর নেতৃত্বগুণ এবং আন্তরিকতা ফুটে ওঠে।
আরও পড়ুনঃ এই বয়সেও অসামান্য নাচ! শান্তনু মৈত্রর মায়ের ‘গ্রেসফুল’ নাচের ভিডিও ভাইরাল, নেটিজেন থেকে তারকারা প্রশংসায় পঞ্চমুখ
এদিকে, সন্ধ্যাবেলা আনন্দি ও আদির ফুলশয্যার প্রস্তুতির সময় বাড়ির সদস্যরা মিলিত হয়। আদির খাট ফুল দিয়ে সাজিয়ে দেওয়া হয়, যা আনন্দী ও আদির নতুন জীবনের সূচনা নির্দেশ করে। তবে অন্যদিকে, নন্দিনী এবং তিতির আদির প্রতি আরও চাপ সৃষ্টি করে, আনন্দি এবং আদির সম্পর্ককে বিপদে ফেলার চেষ্টা করে। তাদের মধ্যে এক ধরনের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হচ্ছে, যা পরবর্তী পর্বের জন্য রোমাঞ্চকর উপাদান হিসেবে কাজ করবে।