জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) এ উত্তেজনা চরমে! কিছুদিন আগেই আর্য অপর্ণাকে অবশেষে নিজের মনের কথা জানিয়েছে। একদিকে নতুন করে জীবন শুরু করার স্বপ্ন দেখতে আর্য। আর অন্যদিকে অপর্ণা খুব খুশি তাঁর প্রেমের স্বীকৃতি মেলায়। কিন্তু এই আনন্দের মুহূর্তেই অন্ধকারের ছায়া যেন পিছু ছাড়তে নারাজ! মীরা অপর্ণার বাবাকে আর্যর সঙ্গে মেয়ের সম্পর্কের কথা জানাতেই, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় সতীনাথকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর আর্য অপর্ণার পাশে দাঁড়াতে চাইলে, প্রথমে অপর্ণার মা আপত্তি না করলেও। যেই মুহুর্তে দেখে যে মেয়ে সঙ্গে আর্যর সম্পর্ক রয়েছে, তখন থেকেই তিনি আর্যকে আর পছন্দ করছেন না। অন্যদিকে, আর্য-অপর্ণা এখনও কাছাকাছি আসতে পারছে না বর্তমানে পারিপার্শ্বিক চাপে। দু’জনে দু’জনকে প্রেম নিবেদন করলেও, পর্বগুলোতে তাদের দৃশ্য নেই বললেই চলে। এই নিয়েই চটেছেন নেটিজেনদের একাংশ!

কারোর মতে, “আর কিছুদিন প্রেমটা দেখালে কী টিআরপি এতই কমে যেতো? আপনাদের গল্পের লেখক, ধারাবাহিকের মূল চরিত্র আর্য-অপর্ণার থেকে বেশি ফোকাস করে অপর্ণার মা-বাবা সুমি আর সতীনাথকে! প্রতিদিনের পর্ব দেখলে মনে হয় যেন ওদের সংসারের কাহিনী দেখছি। ঠিক কী কারণে ওরা পার্শ্ব চরিত্র হয়েও নায়ক নায়িকার থেকেও প্রাধান্য পাচ্ছে?” অন্যজনের মতে, “আর পাঁচটা সিরিয়াকে তো অনেক সুন্দর কুট-কাচালী থাকলেও এতো নেগেটিভিটি দেখায় না!

পার্শ্ব চরিত্রদের এত প্রধান করে না। আপনারা পার্শ্ব চরিত্রকে প্রাধান্য দিচ্ছেন, তাঁদের অভিনয়ের সুযোগ দিচ্ছেন ভালো কথা। তা বলে হিরো-হিরোইনের দিন দেবেন না?” একজন আবার ক্ষোভ প্রকাশ বলেছেন, “ওদের শেষ সুন্দর প্রেমের দৃশ্যে দেখিয়েছেন এক সপ্তাহ আগে। আজ মাসের অর্ধেক হতে চলল, ওদের একসাথে দৃশ্য কোথায়? আজকালের পর্বের কথা তো আর বলারই না। অপর্ণার মাকে যেহেতু জানাতে হবে আর্যর সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক, তাই দুই মিনিট দু’জনকে একসঙ্গে দেখিয়েছিলেন।”
আরও পড়ুনঃ “শাহরুখ খানের বিপরীতে ‘রব নে বনা দি জোড়ি’-তে নায়িকা হওয়ার ডাক এসেছিল আমার!” “অনুষ্কা শর্মার সঙ্গেই অডিশন ছিল, আমি যায়নি ও-ই নায়িকা হলো!”— বাদশার সঙ্গে ডেবিউয়ের সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন দেব সঙ্গিনী রুক্মিণী! “এত ইনোসেন্ট ঢপ দেন কি করে?” কটাক্ষ নেট পাড়ার
কেউ সরাসরি কটাক্ষ করে বলেছেন, “কী সমস্যা আপনাদের? মারাঠি ধারাবাহিকের বাংলা সংস্করণ সেটা মানলাম, কিন্তু এর পজিটিভ দিকগুলো না দেখিয়ে শুধু নেগেটিভগুলোই বেশি বেশি দেখাচ্ছেন! না আছে খলচরিত্রের কোনও শাস্তি, না আছে কোনও ইতিবাচক বার্তা। শুধু নেজেটিভিটিতে ভর্তি হয়ে গেছে।” অন্য একজন আক্ষেপ করে বলেছেন, “আমরা তো বলছি না যে রোজ রোজ প্রেমের দৃশ্যে দিন। অন্তত ওদের স্ক্রিনটাইমটা একটি বাড়ান। আমরা শুধু পোস্টারে আর্য-অপর্ণাকে দেখি, কিন্তু পর্বে সতীনাথ-সুমীর প্রেম দেখতে, আর অপর্ণার নেকা কান্না দেখতে হয়!”