জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কে প্রথম কাছে এসেছি’ (Ke Prothom Kache Esechi)। এই ধারাবাহিকের গল্প সিঙ্গেল মাদার মধুবনী লড়াইয়ের গল্প। ছোট্ট মেয়ে মিহিকে কোলে নিয়ে জীবনযুদ্ধে লড়ে চলেছে মধুবনী। জীবনের কোন এক বাঁকে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় নায়ক ঋকদেবের। তারপর নানান ঝড়ঝঞ্ঝা পেরিয়ে অবশেষে এবার এক হল ঋক এবং মধুবনী।
ঋকদেব ও মধুবনীর শুভ পরিণয়!
ধারাবাহিকের গল্পের মোড় ঘুরেছে বহুবার। ঋক ও মধুবনী একে অপরের থেকে দূরে গিয়েছে। তবে ভাগ্যের খেলায় আবার তারা একে অপরের কাছে ফিরে এসেছে। আর এখান থেকেই তাঁদের কাছে আসা শুরু। ঋকদেবকে খুব ভালোবাসে ছোট্ট মিহি। সে সবসময় চেয়েছে তাঁর মাম্মার সঙ্গে এক হয়ে যাক ‘ভালো লোক’।
তবে মধুবনীর পৃথিবী হলো মিহি। ছোট্ট মেয়েটার কোন অসম্মান হলে মোটেই মানতে পারেনা সে।ধারাবাহিকের বিগত পর্বে দেখা যায় মিহি মধুবনীর নিজের মেয়ে নয়। বরং কোন এক পরিস্থিতি এক করে দিয়েছিল মধুবনী এবং মিহিকে। সেই থেকে বারংবার লড়াই করে মিহিকে আগলে রেখেছে নায়িকা। তবে এবার মধুবনীর জীবন বদলাতে চলেছে। ঋকদেবের হাত ধরে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছে সে।
আরো পড়ুন: জমে উঠেছে ‘মিঠিঝোরা!’ নীলুর কুকর্মের কথা শুনে কেঁদে ভাসালো মেরুদন্ডহীন অনির্বাণ! কি সিদ্ধান্ত নেবে রাই?
সম্প্রতি জি বাংলার তরফে নতুন একটি প্রোমো রিলিজ করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বিয়ের মন্ডপে আয়োজন করা হয়েছে মধুবনী- ঋকদেবের বিয়ে। ঋকদেবের পরিবারের মানুষজন এখনো জানেনা মধুবনীর একটা ছোট্ট মেয়ে রয়েছে। আর বিয়ের মন্ডপে মধুবনী এসে দাঁড়াতেই তাঁর হাত ধরে এসে দাঁড়ায় ছোট্ট মিহি। মধুবনী কি মিহির মাসি? এই প্রশ্ন করতেই সত্যি বলে দেয় মিহি।
একরত্তি মেয়েটি বলে দেয়, মধুবনী আসলে তাঁর মা। আর তখনই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে ঋকের পরিবারের। চিৎকার করে বলা হয় এত বড় সত্যি লুকিয়ে বিয়ে হচ্ছিল! আর এই কথা শুনে বিয়ের পিঁড়ি ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় মধুবনী। সে বলে যেখানে আমার মেয়ের কোন সম্মান নেই, সেখানে আমি বিয়ে করবো না। মধুবনীর কথা শুনে এগিয়ে আসে ঋক। তারপর মিহিকে কোলে তুলে বলে, আজ থেকে তোমাদের ভালো রাখার দায়িত্ব আমার। আর তারপরেই শুভ পরিণয় সম্পন্ন হয়।