জি বাংলার ‘মিঠিঝোরা’ (Mithijhora) তে কিছুদিন যাবত চলছে রাই (Aratrika Maity) এর প্রেগনেন্সি ট্র্যাক। একে তো প্রেগনেন্সি তার উপর সেটা রাই! যার জীবনে কোনও কিছুই স্বাভাবিক ভাবে হয়না। বিয়ে থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত কোনদিনও রাইকে চিন্তা মুক্ত দেখেননি দর্শকেরা। আর এই নিয়ে ক্ষোভও রয়েছে অনেকের, ধারাবাহিক দেখাও বন্ধ করে দিয়েছেন অনেকেই।
বর্তমানে রাইয়ের জীবন থেকে নীলু সরে গেলেও, একের পর এক সমস্যা লেগেই আছে। রাই এর প্রেগনেন্সি স্বাভাবিক ভাবেই দেখানো হচ্ছিল, তবে দর্শকেরা ঠিকই আঁচ করেছিলেন এটা ঝড়ের আগে শান্তির মতন। এবার সেই আশঙ্কাকেই সত্যি প্রমাণ করলো ধারাবাহিকের নতুন মোড়। এই নতুন মোড় শুরু হয় রাই এর সাধ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে, যেখানে পরিবারের সকল সদস্যের মাঝখানে রাই সাধ ভক্ষণ করে।

প্রোমোতে আগেই দেখা গিয়েছিল আশীর্বাদের থালা পড়ে যেতে, আর এবার মূল পর্বে দেখা গেল রাইয়ের হঠাৎ শরীর খারাপ হয় এবং সে চোখে কিছু দেখতে পারছে না। তড়িঘড়ি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে, তিনি জানান যে রাই এর মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে এই বাচ্চা জন্ম দিতে গিয়ে। তাই এর থেকে ভালো সে গর্ভপাত করিয়ে নেওয়া। স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে পড়ে সবাই, কিন্তু রাইয়ের কথা ভেবে তাঁরা গর্ভপাতে রাজি হন।
আরে বাবা সবাই রাজি হলে তো আর হবে না! আমাদের মহীয়সী রাই যতক্ষণ না মত দিচ্ছে। সে সাফ জানিয়ে দেয় যে বাচ্চা সে জন্ম দেবেই, তাতে যদি মরতে হয় তো তাই হবে! দ্বিতীয় মতের জন্য আরও বড় ডাক্তার দেখানো হয়, তিনিও তাই বলেন। অনির্বাণ হতে পায়ে ধরতে রাজি, কিন্তু রাইয়ের মহান হওয়ার নেশা এতটাই প্রবল যে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় সে। আর এই নিয়েই দর্শকেরা বলছেন, “সব সময় অতিরিক্ত পাকামিটা না করলেই নয়?”
আরও পড়ুনঃ মায়ের পথে মেয়েও? ইন্দ্রাণী দত্তর কন্যা রাজনন্দিনীকে এবার দেখা যাবে ধারাবাহিকে? তবে কি ঐতিহাসিক চরিত্রই ফিরছেন তিনি? জোর জল্পনা টলিপাড়ায়
আবার কেউ বলছেন, “প্রথম দিন থেকেই ভুলভাল সিদ্ধান্তে আজ এই অবস্থা, এখন রাইয়ের উচিত দয়া করে অন্যের কথা শোনা!” আবার কিছু দর্শক তো সরাসরিই বলেছেন রাই মারা গেলে আর ধারাবাহিক দেখবেন না। আপনাদের কি মতামত? রাই কি উচিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নাকি এবার সবার কথা শোনা উচিত ছিল?