জি বাংলায় ১০ মার্চ থেকে সম্প্রতি শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar)। ‘দিতিপ্রিয়া রায়’ (Ditipriya Roy) এবং ‘জিতু কমল’ (Jeetu Kamal) অভিনীত এই সিরিয়ালটি অসমবয়সী প্রেমের কাহিনি নিয়ে গড়ে উঠেছে, যা ইতিমধ্যেই দর্শকদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। শুরুর পর থেকেই টিআরপি তালিকায় জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে এই ধারাবাহিক। করুণাময়ী রানী রাসমণির পর আবারো ছোটপর্দায় ফিরেছেন দিতিপ্রিয়া রায়।
শোনা যাচ্ছে, এই ধারাবাহিকটি মরাঠি এবং তেলুগু সিরিয়ালের রিমেক। মূল সিরিয়ালগুলিতে নায়ক-নায়িকার মধ্যে পূর্বজন্মের সংযোগের গল্প দেখানো হয়েছে। মরাঠি সংস্করণে নায়ক তার স্ত্রী রাজনন্দিনীকে খুন করে, তেলুগু সংস্করণে নায়ককে নেতিবাচকভাবে মনে খলনায়ক রূপে উপস্থাপন করা হয়েছে। বাংলা সংস্করণে রাজনন্দিনীর উল্লেখ থাকলেও, নায়ক আর্যর পরিবার সম্পর্কে এখনও কিছু প্রকাশ করা হয়নি।

নায়িকা অপর্ণা মাঝে মাঝে দুঃস্বপ্ন দেখে জেগে ওঠে, যা তার পূর্বজন্মের স্মৃতি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।দর্শকদের একাংশ মনে করছেন, অপর্ণার পুনর্জন্ম হয়েছে আর্যর থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। তারা চাইছেন, বাংলা রিমেকে গল্পের নতুন মোড় আসুক এবং নায়ককে ভিলেন হিসেবে না দেখিয়ে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করা হোক। তবে, শেষ পর্যন্ত কী হবে, তা সময়ই বলে দেবে।

প্রথম সপ্তাহেই সিরিয়ালটি ভালো টিআরপি অর্জন করেছে, যা প্রতিপক্ষদের কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেলেছে। দিতিপ্রিয়া ও জিতুর জুটি এবং তাদের অভিনয় দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এই ধারাবাহিকের ভবিষ্যৎ পর্বগুলি দর্শকদের মধ্যে আরও কৌতূহল সৃষ্টি করছে। তবে অনেকেরই মতে বাংলা ধারাবাহিক রিমেক করলেও কখনো পুরো প্লট এক রাখেনা।
আরও পড়ুনঃ “বিনোদিনী দেখিনি, দেখতে চাইওনি!” কেন উপেক্ষা করলেন রুক্মিণীর বিনোদিনীকে? সুজয় প্রসাদের বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড়!
সিরিয়ালটির গল্পের নতুন মোড় এবং চরিত্রদের সম্পর্কের জটিলতা কীভাবে প্রকাশ পায়, তা দেখার জন্য দর্শকদের আগ্রহ বাড়ছে। ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিকটি বাংলা টেলিভিশনের দর্শকদের মধ্যে নতুন উত্তেজনা তুঙ্গে তুলেছে! প্রতিদিন সন্ধ্যে ৬:৩০ টায় জি বাংলার পর্দায় সম্প্রচারিত হচ্ছে এই ধারাবাহিক। আপনাদের কেমন লাগছে এই জুটিকে?