জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

খারাপ খবর! আশা জাগিয়েও চরম ব্যর্থ! মাত্র দু’মাসেই বন্ধ হচ্ছে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক

জি বাংলার পর্দায় যেন নতুন ধারাবাহিকের ঢল নেমেছে। ‘কুসুম’ (Kusum) এর একাধিক প্রোমো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে, পাশাপাশি ‘রানী ভাবানী’ (Rani Bhavani) -রও আসন্ন, আশা করা যাচ্ছে চলতি সপ্তাহেই প্রকাশ পাবে। স্বাভাবিকভাবেই এই সব নতুন ধারাবাহিককে সময় ও স্লট দিতে গিয়েই টেলিভিশনের পুরনো সদস্যদের জায়গা ছাড়তে হচ্ছে। আর সেই তালিকা থেকে এবার যে ধারাবাহিকটি বিদায় (Ending) জানাতে চলেছে, তা হল ‘দুগ্গামণি ও বাঘমামা’ (Duggamoni O Bagh Mama) । শুরু থেকেই তেমন সাড়া ফেলতে না পারলেও, ধারাবাহিকটি অনেকের কাছেই ছিল স্নেহের পাত্র।

বিশেষত মা-মেয়ের সম্পর্কের টানাপোড়েন ও ভালোবাসার গল্প দর্শকদের একাংশকে আকৃষ্ট করেছিল। চলতি বছরের ৩রা মার্চ যাত্রা শুরু করেছিল এই ধারাবাহিক, কিন্তু মাত্র দু’মাসের মধ্যেই টিআরপি-র চাপে পড়ে ইতি টানতে হচ্ছে ‘দুগ্গামণি ও বাঘমামা’-র সফরে! টিআরপি তালিকায় ধারাবাহিকটি একেবারে পিছনের সারিতেই ছিল বলেই নির্মাতাদের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও অনেক দর্শকই এই হটাৎ সমাপ্তিতে চরম হতাশ। ধারাবাহিকটি ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছিল বলেই অনেকের দাবি।

কিন্তু সময়ের অভাবে সেই গতি ধরে রাখা সম্ভব হল না। ধারাবাহিকের মুখ্য অভিনেত্রী মানালি দে-ও নিজে জানিয়েছেন, এই খবর একেবারে সত্যি! এত কম সময়ে একটি চরিত্র ও তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর সেটি ছেড়ে বিদায় নেওয়া মানালির পক্ষে সহজ নয়। ছোট্ট রাধিকার সঙ্গে তাঁর অফস্ক্রিন সম্পর্কও ছিল দারুণ আন্তরিক। তাই এই ‘পরিবার’ থেকে এত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসতে হবে, ভাবতেই পারছেন না অভিনেত্রী।

সমাজ মাধ্যমে নিজেদের দুঃখ প্রকাশ করে ধারাবাহিকের কলাকুশলীরাও জানাচ্ছেন বিদায়। অন্যদিকে ধারাবাহিকের অন্যতম মুখ্য চরিত্র ‘প্রকাশ’-এর ভূমিকায়।অভিনয় করা ‘রাহুল বোস’ও একটি পোস্ট করেছেন, শুটিং সেটের সেই ছবিতে তিনি লেখেন, “প্রকাশ-এর শেষ দিন”। বহুদিন পর ছোটপর্দায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ফিরে দর্শকদের মন জয় করার চেষ্টা করেছিলেন রাহুল। পাশাপাশি সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়েরও এই ধারাবাহিকের হাত ধরেই ফেরার কথা ছিল।

কিন্তু সেই যাত্রা বেশিদিন স্থায়ী হল না কারোরই। সবমিলিয়ে ‘দুগ্গামণি ও বাঘমামা’ ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবরে দুঃখিত দর্শক থেকে কলাকুশলী সকলেই। জি বাংলার নতুন ধারাবাহিকগুলোর জন্য জায়গা করে দিতেই যে এই বলি, তা বলাই বাহুল্য। তবে মাত্র দু’মাসে একটি সিরিয়ালের শেষ দেখে প্রশ্ন উঠছে, নির্মাতারা আদৌ ধারাবাহিককে পর্যাপ্ত সময় দিচ্ছেন তো? নাকি টিআরপি-র রেসে পিছিয়ে পড়লেই সরিয়ে দেওয়ার নীতি এখন টেলিভিশনের স্বাভাবিক নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে?

Piya Chanda