জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ফুলকি’ (Phulki) শুধুমাত্র একটি ধারাবাহিক নয়, বরং সমাজের প্রতিচ্ছবিতে এক গর্জন, ন্যায়ের দাবি, নির্যাতনের বিরুদ্ধে এক পরিচয় গড়ে তোলার সংগ্রাম। ‘ফুলকি’ আবারও দর্শকদের দিতে চলেছে শ্বাসরুদ্ধকর টান টান উত্তেজনা। জি বাংলার তরফে প্রকাশিত সম্প্রতি নতুন প্রোমোতে দেখা গেল, ‘রোহিত’ (Abhishek Bose) ও ‘ফুলকি’র (Devyani Mondal) জোগাড় করে আনা তথ্যের ভিত্তিতে ‘রুদ্ররূপ সান্যাল’ (Sudip Sarkar) এর বিরুদ্ধে শেষমেশ কঠিন রায় শোনাল আদালত।
রুদ্ররূপ সান্যালকে অপরাধের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড! বহুদিন ধরে যে সত্যকে সামনে আনার লড়াই করছিল ফুলকি, অবশেষে তারই জয় হল। আদালত চত্বরে তখন সংবাদমাধ্যমের ভিড়, পুলিশের কড়া প্রহরা আর জনতার উত্তেজনা—সব মিলিয়ে যেন বাস্তব জীবনের কোনও অপরাধচিত্র! কিন্তু এখানেই থেমে যায় না গল্প। আদালত থেকে বের হওয়ার পর হঠাৎ রুদ্ররূপ পুলিশ অফিসারের বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ফুলকিকে সামনে রেখে পালাতে চেষ্টা করে!

তার চোখে মুখে স্পষ্ট প্রতিশোধের আগুন। সে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে, “এক পা ও এগোলেই, ফুলকিকে শেষ করে দেব!” মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। চারদিকে চিৎকার, চেঁচামেচি আর সেই সঙ্গে এক প্রাণ কাঁপানো গুলির শব্দ! সবার দম আটকে আসে, কী হল? কে গুলি করল? সবার চোখ বিস্ময়ে ছানাবড়া—রুদ্র মাটিতে লুটিয়ে পড়ে গেছে। কিন্তু গুলি চালাল কে? ক্যামেরা ঘোরে ধীরে ধীরে, আর দেখা যায় বন্দুক হাতে জেঠিমণি!
সেই নারী, যিনি এতদিন ঘরের আড়ালেই ছিলেন, তিনিই আজ আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে, শেষ করে দেন রুদ্ররূপের অন্ধকার ষড়যন্ত্রের চিরন্তন অধ্যায়। তাঁর চোখে নেই বিন্দুমাত্র ভয়, বরং এক ধরণের নীরব তৃপ্তি আর মমতার মুখচ্ছবি যেন ঝলসে ওঠে। দীর্ঘদিনের জমে থাকা রাগ, ক্ষোভ ও দুঃখ নিয়ে এই কাজটি করতে সাহস যুগিয়েছে তাঁকে, এক সময়ে তিনিই রুদ্রের ঢাল হয়েছিলেন।
আরও পড়ুনঃ রুবেলের আচরণে কেঁদে ভাসালেন শ্বেতা! বিয়ের দু’মাসেই সম্পর্কের বাঁধনে টান! তাল কাটল প্রেমের?
এই পর্বে যেন ধরা পড়ে নারীর প্রতিবাদ, সাহস আর ন্যায়ের পূর্ণ প্রতিচ্ছবি। এবার কি রায়চৌধুরী বাড়িতে ফিরবে শান্তি? ফুলকি ও রোহিত কি এবার সুখে সংসার শুরু করতে পারবে? এর উত্তর পেতে চোখ রাখতেই হবে ‘ফুলকি’-র পরবর্তী পর্বে। ২-৮ এপ্রিল প্রতি রাত ৭:৩০-এ শুধুমাত্র জি বাংলার পর্দায়। কারণ এবার শুরু হবে ফুলকির জীবনের নতুন অধ্যায়! নাকি নতুন এটা শুধুই ঝড়ের আগের শান্তি?