জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্য কিছুতেই অপর্ণার রাগ ভাঙাতে পারছে না দেখে রাজলক্ষ্মী নিজেই দ্বারস্থ হন তার। অপর্ণাকে তিনি জানান, আর্যর জীবনে অনেক ক্ষত আগে থেকেই আছে। অপর্ণাকে সেই ক্ষত ঢাকার একটা চেষ্টা হিসেবে সে খুঁজে পেয়েছে। নতুন করে আবার বাঁচার একটা ইচ্ছে জেগেছে তার মনে।
তাই অপর্ণার এমন রেগে থাকা বরং আর্যর ক্ষতকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। তিনি অপর্ণাকে অনুরোধ করেন, যেন সব রাগ অভিমান ভুলে অষ্টমীর দিন থেকে আর্যের সঙ্গে নতুন করে সবকিছু শুরু করে সে। রাতে অপর্ণার কিছুতেই ঘুম আসে না, জানলার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে সে। অপর্ণা ভাবে যে এত সুন্দর একটা জায়গা, চারিদিকে শুধু আনন্দ, এখানে আর্যর উপর কী করে বিপদ আসতে পারে?
হঠাৎ শরীর খারাপ করতে শুরু করে তার। পরদিন সকাল হতেই অপর্ণার মা-বাবা তাড়াহুড়ো করছে অঞ্জলী দিতে যাওয়ার জন্য, কিন্তু অপর্ণার মুখ দেখে তার মা বুঝতে পারেন যে অষ্টমী বলেই হয়তো অপর্ণা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মা-বাবা চলে যেতেই আর্য এসে অপর্ণাকে একটা শাড়ি উপহার দেয় অষ্টমীতে পরার জন্য। ওদিকে অষ্টমী আসলেই বরাবরের মতো, অর্ক এবারও অসুস্থ হয়ে পড়ে।
মানসী বুঝেই উঠতে পারে না কি সমস্যা। সে সবাইকে জিজ্ঞেস করতে থাকে, কিন্তু কেউ উত্তর দিতে চায় না। হঠাৎ অপর্ণা সেখানে উপস্থিত হয়, যেন অন্য একটা মানুষ ভর করেছে তার উপর। কাউকে ধরে কাছে আসতে দেয় না সে। আপন মনে ঢাক বাজাতে শুরু করে। আর্য আটকাতে গেলে, একটা ধাক্কা দিয়ে দূরে ঠেলে দেয় সে। তারপর বাইরের দিকে চলে যেতে থাকে।
আরও পড়ুনঃ উৎসবে অন্ধকার অতীতের মুখোমুখি বসু পরিবার! দুই দাদুর মাঝে দূরত্ব থাকলেও মন কাছাকাছি, মিলনের চেষ্টায় নতুন প্রজন্ম! পারুল-রায়ানের সাহসে জমে থাকা সম্পর্কের বরফ কি গলবে?
আচমকাই অপর্ণার শাড়ির আঁচলে আগুন লেগে যায়। তড়িঘড়ি আর্য আগুন নিভিয়ে দিল, অপর্ণা বলে আর্য আসলে নাকি আর্য নয়! বাইরে বেরিয়ে সে মেঘরাজের গাড়িতে উঠে চলে যায়, আর্য হতভম্ব হয়ে যায়। অন্যদিকে, অপর্ণার মা চিন্তায় পড়ে জানায়, অষ্টমী আসলেই তার মেয়ে এরম করে। রাজলক্ষ্মী ভাবে কী এমন হয়েছিল অপর্ণার সঙ্গে অর্কর মতো?
