জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

উৎসবে অন্ধকার অতীতের মুখোমুখি বসু পরিবার! দুই দাদুর মাঝে দূরত্ব থাকলেও মন কাছাকাছি, মিলনের চেষ্টায় নতুন প্রজন্ম! পারুল-রায়ানের সাহসে জমে থাকা সম্পর্কের বরফ কি গলবে?

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, অষ্টমীর দিন বসু বাড়িতে সবাই পুজোর আনন্দে মেতে উঠেছে শুধুমাত্র দাদু ছাড়া। পারুল খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, দুর্গাপূজোকে ঘিরে দাদুর অতীতে লুকিয়ে আছে অনেক বড় একটা ক্ষত! অস্বাভাবিকভাবে ইউনিভার্সিটি ডিন স্যারের ছবি দেখে পারুল দাদুর হাতে।

ঠাম্মিকে পারুল ওই ছবির প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করতেই, তিনি এতদিন বসু পরিবারের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখা রহস্যের পর্দা তুলে দেন। পারুল কে তিনি জানান, আসলে তাদের স্যার এবং দাদু দু’জনে সম্পর্কে ভাই। বহু বছর আগে দুর্গা পুজো করার কথা ছিল দুই ভাই মিলে। কিন্তু কিছু মতবিরোধ এবং পারিপার্শ্বিক চাপে তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়, আর পুজোটা হয়ে ওঠে না।

পরবর্তীতে দাদুর দাদা অর্থাৎ স্যার সপরিবারে গুজরাট চলে যান। তারপর থেকেই আজ দীর্ঘ বছর মুখ দেখাদেখি বন্ধ। রায়ানের সাহায্য নিয়ে পারুল স্যার এবং তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনেন। দাদুকে জোড় করে পারুল মুখোমুখি দাঁড় করায় তার দাদার। দাদু সব মতবিরোধ মিটিয়ে নিতে চাইলেও, দাদার যে এখনও তার প্রতি ক্ষোভ জমে আছে সেটা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন তিনি।

অষ্টমীর সন্ধ্যেবেলায় রায়ান আয়োজন করে পারিবারিক অনুষ্ঠানের। সেখানে রায়ানের মা-বাবা, ত্বরীতা এবং মৈনাক জোড়ায় জোড়ায় নাচ করে। স্বাভাবিকভাবেই দাদু এতে অস্বস্তি বোধ করেন এবং মনে করেন দাদাও হয়তো একই ভাবছেন। তাকে জিজ্ঞেস করতেই তিনি কষ্ট করে দেন যে, একটা ইউনিভার্সিটির দায়িত্বে থাকার জন্য তাকে নতুন প্রজন্ম সঙ্গে রোজ ওঠা-বসা করতে হয়।

তিনি তাই দাদুর মতো রক্ষনশীল বা পিছিয়ে পড়া মনোভাব রাখেন না। এদিকে বিদেশ থেকে রুক্মিণীও পুজোর অনুষ্ঠান উপভোগ করছে। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায় রায়ান নাচতে ওঠে, তাঁকে দেখে পারুলও ইচ্ছা করে একসঙ্গে নাচতে। ফন্দি করে পারুল, নবমীতে একসঙ্গে নাচার। দাদুর দাদা দূরত্ব রেখে ফিরে গেলেও, দাদু আবেগাপ্লুত হয়ে রায়ানকে ধন্যবাদ জানায়, সুন্দর মুহূর্ত গুলো উপহার দেওয়ার জন্য।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page