জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্যকে রাজলক্ষ্মী বলছেন অপর্ণার সঙ্গে বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে। আর্য সেই মতো ফোন করতে গিয়ে দেখে, অনেকবার রুম্পার কল এসেছে তার ফোন। আর্য নিজের থেকে ফোন করতেই জানতে পারে, অপর্ণার বাবার হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক হয়ে গেছে।
তিনি এখন হাসপাতালে ভর্তি, চিকিৎসক বলেছে অপারেশনের জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। অপর্ণা কিছুতেই সেই টাকা যোগাড় করে উঠতে পারছে না, এই কথা জানায় রুম্পা। আর্য আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়ে হাসপাতালে উদ্দেশ্যে। মানসী আর্যকে যেতে দেখে মিথ্যে চিন্তা প্রকাশ করে, এবং সঙ্গে যাওয়ার দাবি জানায়। রাজলক্ষ্মী সেটা হতে দেয় না, মানসী এতে রেগে যায়।

মানসীকে সতর্ক করে দেয় যে, ভাসুরের ওপর গোয়েন্দাগিরি না করতে। অন্যদিকে মীরাকে অনেকবার ফোন করেও অপর্না কোনো সুরাহা করতে না পারায় অফিসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আর্য এসে পৌঁছানোর আগে অপর্না হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যায়। অফিসে গিয়ে জানতে পারে, মীরার স্বাক্ষর ছাড়া কোনওভাবেই ইন্সুরেন্সের টাকা পাবে না অপর্ণা।
আত্মসম্মান ভুলে গিয়ে মীরার কাছে হাত জোড় করে ভিক্ষা চাইবে, ঠিক করে অপর্ণা। আর্য সরাসরি হাসপাতালের মালিকের সঙ্গে দেখা করে, চিকিৎসার সমস্ত বিল মিটিয়ে দেয় এবং অপর্ণাদের এই বিষয়ে কিছু না জানাতে অনুরোধ করে সে। অন্যদিকে অপর্ণা মীরার বাড়িতে গিয়ে বারবার দরজা খোলার অনুরোধ করলেও, কোনভাবেই মীরা দরজা খোলে না।
আরও পড়ুনঃ “আমার ১৯ বছরের পেশাজীবনে এমন অভিজ্ঞতা এই প্রথম” – পুজোর মুখে মাত্র দু’দিনের নোটিসে বন্ধ হল ‘কোন সে আলোর স্বপ্ন নিয়ে’! টেকনিশিয়ানদের অন্ধকার ভবিষ্যৎ নিয়ে বি’স্ফো’রক অভিনেত্রী পায়েল
অপর্ণা সিদ্ধান্ত নেয় সকালের অপমানের পর মীরা আর তাকে সাহায্য করবে না। হাসপাতালে গিয়ে বাবার চিকিৎসা যাতে না আটকায় সেই অনুরোধ করবে ঠিক করে অপর্না। চিকিৎসককে গিয়ে অপর্ণা বলে, বাবার অপারেশন শুরু করতে সে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টাকা জোগাড় করে আনবে। কিন্তু চিকিৎসক জানান, তার বাবার সমস্ত টাকা মেটানো হয়ে গেছে।