জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্য কোনরকমে মেঘরাজকে ধাক্কা দিয়ে দূরে ঠেলে দেয়। তাড়াতাড়ি করে অপর্ণাকে বন্দীদশা থেকে মুক্ত করে। ততক্ষণে মেঘরাজ নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে একটা ব’ন্দুক বের করে। এরপর আর্য আর মেঘরাজের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
শেষে আর্য বন্দুকটা হাতে পেয়েই মেঘরাজকে বুকে গুলি করে দেয়। জ্ঞান হারানোর আগে মেঘরাজ, অপর্ণাকে বলে যে আর্য আসলে মুখোশ পরে আছে। আর্য আসলে শঙ্কর, ভেক ধরে আছে। এদিকে কিঙ্কর পুলিশ নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়। আর্য আহত অবস্থায় ঠান্ডায় কাঁপতে থাকা অপর্ণাকে নিয়ে বেরিয়ে এলে, পুলিশ তড়িঘড়ি হাসপাতালে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে।

কিঙ্কর ভেতরে গিয়ে র’ক্ত ছাড়া আর কেউই খুঁজে পায় না। মেঘরাজ পালিয়ে গেছে, কিন্তু সেই রেকর্ডিং করা ফোনটা ফেলে গেছে। যেটা হাতে পেতেই কিঙ্কর নষ্ট করে দেয়, আর পুলিশকে জানায় যে তাদের আসতে দেরি হওয়ায় অপরাধী হাতছাড়া হয়ে গেছে। ওদিকে হাসপাতালে অপর্ণার সঙ্গে আর্য দেখা করতে গেলে, বারবার অপর্ণা জানতে চায় শঙ্করের বিষয়ে।
আর্য কোনও উত্তর না দিয়েই চলে যায়, বাড়িতে বেরোতেই কিঙ্করের মুখোমুখি হয় সে। কিঙ্কর আবার তাঁকে সাবধান করে, যেন অপর্ণা কোনও সত্যি না জানে। কিঙ্কর জানায়, সত্যিটা জুড়ে শুধু আর্য নয় বরং অনেকেই আছে। তাই আবেগে ভেসে গিয়ে কোনও ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া আমার ঠিক হবে না। ওদিকে অপর্ণার সঙ্গে তার মা বাবা এবং রাজলক্ষ্মী দেখা করতে যান।
আরও পড়ুনঃ বিজয়ার দিনে নাটকীয় মোড়, শিরীনের স্বপ্ন ভাঙল পারুলের এক দৃঢ় পদক্ষেপে! শিরীনের সিঁথিতে সিঁদুর দিতে যাচ্ছিল রায়ান, শেষে মুহূর্তে বাধা দিল পারুল! শিরীনকে নিজের জায়গা দেখিয়ে দিল সে!
তারা গিয়ে বিয়ের কথাবার্তা শুরু করেন। অপর্ণার কোনও আপত্তি আছে কিনা জানতে চান রাজলক্ষ্মী। অপর্ণা বলে একবার সে আর্যর সঙ্গে কথা বলতে চায়। ওদিকে আবার অফিস এবং পাড়ার লোকেরা চলে এসেছে খবর পেয়ে। আর্য অপর্ণার কাছে গেলে, আবারও সেই একই প্রশ্ন এড়িয়ে যায় সে। অপর্ণার মনে প্রশ্ন জাগে, তাহলে কি এতদিন ভুল মানুষকে ভালোবেসেছে সে!
পরদিন আর্য ঠিক করে অপর্ণা থেকে আর কিছু লুকাবে না। সবটা বলে দেবে যে, মেঘরাজ কে আর আর্যকে সবাই শঙ্কর কেন বলে। কিঙ্কর এই খবর পেতেই আর্যকে সাবধান করার চেষ্টা করে। কিন্তু আর্য নাছোড়বান্দা, সে অপর্ণার থেকে আর কিছুই লুকাতে চায় না। হঠাৎ কিঙ্কর একটা ব’ন্দুক বের করে আর্যর মাথায় ধরে! বলে, যদি সোজা আঙুলে ঘী না ওঠে তাহলে সে আঙুল বাঁকাতে জানে।