জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, বসু বাড়িতে চলছে দশমীতে মাকে বিদায় জানানোর তোড়জোড়। পুজো শেষে হতেই ঘট বিসর্জনের মাধ্যমে উমা বিদায় নিলেন বসু বাড়ি থেকে। ঠাম্মি ভারাক্রান্ত মনে মায়ের কাছে প্রার্থনা করছেন যেন, প্রতিবছর তিনি চারটে দিনের জন্য হলেও এসে এই বসু বাড়িতে আবার প্রাণ ফিরিয়ে দিয়ে যান। ত্বরিতা রুক্মিণীকে ফোন করে সবটা দেখাতে থাকে। সিঁদুর খেলার আগেই রুক্মিণী বলে তার অনেক কাজ আছে, তাই আর ফোনে থাকতে পারবে না।
ফোনটা কেটেই শেষ কান্নায় ভেঙে পড়ে। কাউকে না জানিয়েই সে গোপালের সঙ্গে ডিভোর্স ফাইনাল করে এসেছে। যতই চেষ্টা করতে গোপালের থেকে দূরে যাওয়ার কিন্তু, ততই যেন টান অনুভব করতে সে। গোপালের সঙ্গে সিঁদুর খেলতে তার খুব মন টানছে, দোটানায় পড়ে কি করবে বুঝতে পারছে না রুক্মিণী। দশমীতে সবাই লাল-সাদা শাড়িতে সেজেছে, বরণের জন্য। একে অপরকে সিঁদুর লাগিয়ে চলছে সিঁদুর খেলা। দূরে একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে টগরকে, পারুল নিজের থেকে গিয়ে সিঁদুর ছুঁইয়ে দেয় তাকে।
এরপর দু’জনে শাশুড়িদের সিঁদুর ছোঁয়াতে গেলে, তারা অগ্রাহ্য করে চলে যায়। ঠাম্মি সবটা দেখে তাদের আটকান। তিনি বলেন, বউ হিসাবে না মানেও ছেলেদের মঙ্গলের চিন্তা করে এমন না করতে। এরপর পারুল আর টগরকে তাদের শাশুড়ি দেয় সিঁদুর লাগিয়ে দেন। পারুলরাও আশীর্বাদ নেয় তাদের থেকে। একটা সারপ্রাইজ আছে বলে, রায়ানকে পারুল সিঁদুর মাখিয়ে ভুত করে দেয়। রায়ানও তো ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়! সে-ও পারুলকে সিঁদুরে মাখামাখি করে দেয়।
নিজেদের অজান্তেই দু’জন দু’জনের কতটা কাছে চলে আসে বুঝতে পারে না। দূরে দাঁড়িয়ে এসব দেখে শিরীনের গা জ্বলে যায়। সে ঠিক করে, আজকেই রায়ানের হাত দিয়ে সিঁদুর পরবে। বরণ শেষ হতেই সবাই যখন সিঁদুর খেলায় ব্যস্ত, পারুল ভাবতে থাকে এরপরে সব আগের মত হয়ে যাবে। আবার বসু বাড়িতে মনমালিন্য, ঝগড়া, রাগ-অভিমান সবকিছু হবে। তবুও এই চারটে দিন সবাই একসঙ্গে ছিল, ঠিক তার স্বপ্নের মতো।
আরও পড়ুনঃ গু’লির শব্দে কেঁপে উঠল চারিদিক! সত্য-অসত্যর সীমা মুছে গেল আর্য-শঙ্করের লড়াইয়ে! কিঙ্করের ব’ন্দুক তাক করতেই জমে উঠল উত্তেজনা, শঙ্করের ছদ্মবেশে ধরা পড়ছে আর্যর অন্ধকার অতীত!
হঠাৎ সে লক্ষ্য করে শিরীন রায়ানের হাত দিয়ে সিঁদুর পরতে যাচ্ছে! তাকে আটকে পারুল সিঁদুর পরার সখ মিটিয়ে দেয়, সিঁদুরের থালায় মুখ গুঁজে! মৈনাক লাইভ করে, শিরীনের এই পরিণতি। এদিকে মল্লারও শিরীনের ছবি তুলতে যায়, শেষমেষ অপমানিত হয়ে শিরীন চলে যায়। বিসর্জন যাত্রা শুরু হলে, রাস্তায় বাড়ির মেয়ে-বৌদের নাচতে দেখে দাদু খুব রেগে যান সবার উপর।
