জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্য কিছুটা সুস্থ হতেই অপর্ণার খোঁজ করে। সবাই বোঝানোর চেষ্টা করে যে, শরীরের এই অবস্থা নিয়ে কোথাও না যেতে। বিশেষ করে মীরা আর্যকে বেশি বাধা দেয় কিন্তু অপর্ণার মা তার মেয়েকে খুঁজে এনে দিতে অনুরোধ করলে, আর্য সেটা ফেলতে পারে না।
নিজের ফোন হাতে পেতেই আর্য দেখে অনেকগুলো নম্বর থেকে ফোন এসেছিল এবং একটা ভিডিও পাঠানো হয়েছে। সেখানেই আর্য দেখে, মেঘরাজ অপর্ণাকে অপহরণ করেছে। আর্যর মা তাকে সাহস যোগায় যে, অপর্ণাকে ঠিক বাঁচিয়ে আনতে পারবে আর্য। এরপর আর্য মেঘরাজের বাড়িতে উপস্থিত হয় আর অপর্ণার খোঁজ করতে থাকে।

মেঘরাজকে মারতে গেলে সে বলে, এত সহজে অপর্ণার খোঁজ বলবে না। বরং আর্যকে সামনে দাঁড় করিয়ে অপর্ণাকে সব সত্যি জবাবে আর্যর। আর্য মেঘরাজের এক সঙ্গীর কাছ থেকে বন্দুক চিনিয়ে নিয়ে অপর্ণার হদিস জানতে মেঘরাজকে গুলি করার হুমকি দেয়। অবশেষে হার মেনে মেঘরাজ আর্যকে নিয়ে যায় অপর্ণার কাছে।
কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা যায় অপর্ণা নেই! মেঘরাজের কোনও কথা না শুনে আর্য এবার তাঁকে মারতে শুরু করে। অন্যদিকে নিজের প্রাণ বাঁচিয়ে অপর্ণা কোনও রকম পালিয়েছে। রাস্তায় সে দেখে একটি মেয়েকে অনেকগুলো ছেলে মিলে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সাহসী অপর্ণা তাদের সামনে রুখে দাঁড়ালেও শেষ রক্ষা হয় না।
আরও পড়ুনঃ “মাত্র দিনচারেক অভিনয় করেছি, তবু অঙ্কিতাও আপন করে নিয়েছেন” সৌম্যদীপকে বাদ দিয়ে নতুন নায়কের সঙ্গে রোমান্সে মাতবেন অঙ্কিতা!
ছেলেগুলো মেয়েটিকে নিয়ে চলে যায়, অপর্ণাও তাদের পিছু নেয়। এদিকে মেঘরাজ আর্যকে বলে, অপর্ণাকে তার প্রাণ-ভোমরা বলে কিছু ভুল করেনি সে। হঠাৎ করে এমন একটা তরুণীকে আর্য কেন ভালোবাসলো জানতে চায় মেঘরাজ, আর বলে যে ভালোবাসা বালির মতো হাত থেকে বেরিয়ে যায়।
আর্য অপর্ণাকে খুঁজতে যেতে চাইলেও শারীরিক কারণে সেখানে অজ্ঞান হয়ে যায়। আর্যকে আটক করে নেয় মেঘরাজ। অন্যদিকে সেই মেয়েটিকে বাঁচানোর জন্য অপর্ণা লড়াই করতে থাকে, এবং তাদের মারে আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এদিকে আর্যকে মেঘরাজের হাত থেকে বাঁচাতে কিঙ্কর উপস্থিত হয় সেখানে। এরপর কী হবে জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।