জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

অপর্ণার ওপর মিথ্যে অপবাদ, অসুস্থ শরীর নিয়েও থানায় এসে ন্যায়ের লড়াইয়ে নামল আর্য! কাউন্সিলরের ভণ্ডামি ভেঙে দিল আর্যর সাহসী পদক্ষেপ, অপরাধীর মুখোশ খুলে গেল শেষমেশ!

জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্য পুলিশ স্টেশনে এসে উপস্থিত। আর্যর শারীরিক অবস্থা দেখে অপর্না উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। এদিকে অভিযুক্ত কাউন্সিলর আর্যকে দেখা মাত্রই বলে, সামান্য একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এখন মিটে গেছে তাই, এমন অবস্থায় আর্যকে এর ভেতরে ঢুকতে হবে না।

কিন্তু প্রতিবাদ করে অপর্ণা বলে, কোনও ভুল বোঝাবুঝি হয়নি। বরং ভুল করে সেটা স্বীকার করার বদলে অন্যকে অভিযুক্ত বানানো হচ্ছিল। অপর্ণা বলে তাকে মিথ্যে দোষ দিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে এবং লকআপেও নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পুলিশ যদিও সম্পূর্ণ অস্বীকার করে, অপর্ণা কিন্তু রুখে দাঁড়ায় তার সঙ্গে হওয়া অপমানের বিরুদ্ধে।

এদিকে অপর্ণার মা-বাবা, আর্যর মা মিলে অপর্ণাকে বোঝাতে থাকেন যে আর্য এমন শারীরিক অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও অপর্ণার জন্য ছুটে এসেছে, যখন সবকিছু মিটেই গেছে তখন আর কথা না বাড়িয়ে বাড়ি ফিরতে। কিন্তু অপর্ণা নিজের সিদ্ধান্তে অনড়, সে কোনও ভাবেই মিথ্যে অপবাদ নিয়ে বাড়ি ফিরতে চায় না। আর্যর কাছে সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করে অপর্ণা।

আর্য কথা দেয়, যেভাবেই হোক অপর্ণার সম্মান ফিরিয়ে দেবে। এরপর মেয়েটিকে গিয়ে আর্য বোঝাতে থাকে যে, কোনও ভয় না পেয়ে সত্যিটা বলতে। আর্য মেয়েটিকে বলে, যখন সে বিপদে পড়েছিল তখন কিন্তু নিজের কথা চিন্তা না করেই অপর্ণা তাকে বাঁচিয়েছে। এবার অপর্ণা বিপদে পড়েছে তাকেও পাশে দাঁড়াতে হবে। আর্য আরও বলে, না হলে ভবিষ্যতে আরও বিপদে পড়লে কোনদিনও কেউ তার পাশে দাঁড়াবে না।

অবশেষে মেয়েটি সবকিছু স্বীকার করে নেয়, কাউন্সিলর মিথ্যে অনুশোচনা নাটক করে। এরপর আর্য বাধ্য করে তাকে অপর্ণার কাছে ক্ষমা চাইতে। অন্যদিকে হাসপাতালে আর্য নেই এই খবর পেয়ে মীরা এবং কিঙ্কর চিন্তায় পড়ে যায়। মানসীকে কিঙ্কর বোঝানোর চেষ্টা করে যে আর্যকে এমন অবস্থায় যেতে দেওয়া ঠিক হয়নি, কিন্তু মানসী উল্টে তাকে অপমান করে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করে।

Piya Chanda