শুক্রবার রাতের দিকে হঠাৎ করেই ছড়িয়ে পড়ে এক উদ্বেগজনক খবর। টেলিপাড়ার জনপ্রিয় মুখ, জি বাংলার ‘ফুলকি’ (Phulki) ধারাবাহিকের অভিনেত্রী ‘দিব্যাণী মণ্ডল’ (Devyani Mondal) নাকি এক বড় বিপদের মুখোমুখি হয়েছেন। ভক্তরা প্রথমে কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না— তিনি কোথায়, কেমন আছেন, আর ঠিক কী হয়েছে! তবে, সামাজিক মাধ্যমে কিছু ছবি সামনে আসতেই দুশ্চিন্তা আরও বাড়তে থাকে। একটি ভাঙাচোরা গাড়ির দৃশ্য দেখে অনেকে আঁচ করতে শুরু করেন, ঘটনা হয়তো খুবই গুরুতর।
উল্লেখ্য, দিব্যাণীর জীবনযাত্রা যেমন অনুরাগীদের কাছে সবসময় আগ্রহের বিষয়, তেমনই তাঁর ঈশ্বরে ভক্তি-ভাবও সুপরিচিত। কৃষ্ণভক্ত এই অভিনেত্রী জন্মাষ্টমীর দিনটি নিজের বাড়িতে, মুর্শিদাবাদে গিয়ে বিশেষভাবে পালন করার পরিকল্পনা করেছিলেন। সেই অনুযায়ী, কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে রওনা দেন তিনি। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই নৈহাটির কাছাকাছি ঘটে যায় এক অপ্রত্যাশিত বিপত্তি, তাদের যাত্রাপথ হঠাৎ করেই ভয়ঙ্কর রূপ নেয়।
পরে জানা যায়, গাড়ির চালক নাকি যাত্রাপথে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। দিব্যাণী জানিয়েছেন, যাত্রার শুরুতেই সবাই চালককে প্রশ্ন করেছিলেন ঘুম পাবে কি না, কিন্তু তিনি আশ্বস্ত করেছিলেন যে তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে সেই নিশ্চয়তা ভুল প্রমাণিত হয়। দিব্যাণী নিজেও সে সময় ঘুমাচ্ছিলেন, আর দুর্ঘটনার মুহূর্তেই আচমকা ঘুম ভেঙে যায়। গাড়ি উল্টে যাওয়ার ধাক্কায় তিনি আতঙ্কে কেঁদে ফেলেন এবং দ্রুত বাইরে বেরিয়ে আসেন।
অভিনেত্রী প্রথমে সমাজ মাধ্যমে গাড়িটির ছবি পোস্ট করলে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। পরে তিনি জানিয়েছেন, ঈশ্বরের কৃপায় বড়সড় ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছেন তাঁরা। তাঁর ঘাড়ে সামান্য চোট লেগেছে, কিন্তু এক সঙ্গীর মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। তবুও, বিধ্বস্ত গাড়ির অবস্থা দেখে মনে হয়েছে, পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারত। এই অভিজ্ঞতা এখনও তাঁকে শিহরিত করছে। দিব্যাণী বলেন, “এখন মনে হচ্ছে, আমরা গাড়িতে না ঘুমোলেই ভালো হত।”
আরও পড়ুনঃ পুজোর উৎসবের আগে টলিউডে তুমুল উন্মাদনা, দেব-শুভশ্রীর ‘ধূমকেতু’ একদিনেই ৩০০ শো হাউজফুল ও ৩১.৪১ হাজার টিকিট বিক্রি—এবার কি ভাঙবে গত পাঁচ বছরের সব রেকর্ড?
যদিও এই মুহূর্তে তিনি সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে রয়েছেন, তবুও ঘটনার রেশ কাটিয়ে ওঠেননি পুরোপুরি ভাবে। দুর্ঘটনার ধাক্কা এখনও মনে বেশ দাগ কেটে রেখেছে। তবে সবকিছুর পরও, জন্মাষ্টমীর দিনটি তিনি তাঁর মতো করে পালন করবেন বলেই জানিয়েছেন। শারীরিক কষ্ট আর মানসিক ধাক্কা সত্ত্বেও, নিজের বিশ্বাস ও ভক্তির জোরে আবারও জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চেয়েছেন দিব্যাণী।