জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, দীর্ঘক্ষণ ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে থাকার পর আর্য উপলব্ধি করতে পারে সে এখনও বেঁচে আছে। এদিকে কিঙ্কর কোনও রকমে নিজেকে বাঁচিয়ে অপর্ণার বাড়িতে যায় এই আশায় যে আর্য নিশ্চই ওখানে আছে।
ভূমিকম্প থামতেই রাজলক্ষ্মীও ছুটে হয় অপর্ণার বাড়ি আর্য-অপর্ণার খোঁজে। সেখানের এতোই খারাপ পরিস্থিতি যে পুলিশ প্রথমে তাকে ঢুকতে বাধা দেয়। পরে অনেক অনুরোধ করার পর তিনি সেখানে ঢুকতে পারেন। না রাজলক্ষ্মী না কিঙ্কর কেউই আর্য আর অপর্ণাকে খুঁজে পায় না সেখানে। কিঙ্কর ভেঙে পড়ে খারাপ কথা ভেবে।

কিঙ্কর নিশ্চিত হয়, নিশ্চই ওই ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়েই দু’জনে মারা গেছে। এই কথা শুনে অপর্ণার মা পাগলের মতো আচরণ শুরু করে, রাজলক্ষ্মী ছুটে বাইরে বেরিয়ে যান। খোলা আকাশের তলায় তিনি কাঁদতে কাঁদতে ঈশ্বরের কাছে আঁচল পেতে ভিক্ষা চান ছেলের প্রাণ। তারপর অপর্ণার মাও একই রকম করে যোগ দেন তাঁকে।
ওদিকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অপর্ণার বাবাও। রাজলক্ষ্মী কিঙ্করকে বলেন যেখান থেকে হোক যেন আর্য আর অপর্ণাকে সে ফিরিয়ে আনে। কিন্তু বারবার কিঙ্কর ওই মারা যাওয়ার কথা বলতে থাকলে, রাজলক্ষ্মী তার গায়ে হাত পর্যন্ত তুলতে যান। উদ্বিগ্ন হয়ে কিঙ্কর এদিক ওদিক খোঁজ করছে, হঠাৎ অর্ক এসে হাজির দাদার খোঁজে।
আরও পড়ুনঃ পারুলের হাতে ফাঁস গোপাল-রুক্মিণীর ডিভোর্সের আসল রহস্য! রুক্মিণীর কান্নায় গোপালের অভিমান গলল, অভিনন্দা নিজের ভালোবাসা ত্যাগ করে গোপালকে তুলে দিল রুক্মিণীর হাতে! ‘পরিণীতা’য় আবার এক হল চার হাত!
কিঙ্কর তাঁকে কিছুই উত্তর দিতে পারে না, অর্কও পাগলামো করতে থাকে মানসীর কোনও কথা শোনে না। শেষে দেখা যায় একটা নদীর পারে অপর্ণা-আর্য অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। গ্রামের একটা বাচ্চা তাদের দেখে, বাড়ির লোকদের ডেকে আনে। গ্রামের লোকেরা এসে প্রথমে তাঁদের মৃ’ত ভাবলেও, কাছে গিয়ে বুঝতে পারে জীবিত তারা! এরপর দু’জনকে উদ্দার করে গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।