জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, চিকিৎসা করার পর আর্য একটু সুস্থ হতেই বাড়ি ফিরে যেতে চায়। বাড়িতে সবাই চিন্তায় অস্থির হয়ে যাচ্ছে, এটা ভাবলেই আর্যর চিন্তা হচ্ছে। কিন্তু গ্রামবাসীরা অনুরোধ করে, তাদের সঙ্গে কালীপুজো উদযাপন করে তারপর যেতে। প্রথমে রাজি না হলেও পরে অপর্ণার কথায় আর্য রাজি হয়ে যায় থাকতে।
অপর্ণাকে আর্য বলে, যখন মাধবপুরে এসেই পড়েছে তখন সত্যিটা জেনে তারপরেই যেন অপর্ণা যায়। কিন্তু অপর্ণা আর আর্যর সত্যিটা জানতে চায় না। তার কথা, যতবার যে সত্যিটা জানার চেষ্টা করছে নানান বিপদের মধ্যে পড়তে হচ্ছে আর্যকে। সবকিছু জেনে সে আর বিপদে ফেলতে পারবে না কাউকে, তাই সত্যিটা না জানাই থাক। আর্য ভরসা দেয় যে, সব বিপদে অপর্ণা পাশে থাকবে এটা তার বিশ্বাস।

কিন্তু সত্যিটা না জানলে পুরোপুরি পাশে থাকা সম্ভব না, সম্পর্কের মধ্যেও একটা অবিশ্বাসের জায়গা তৈরি হচ্ছে সত্যিটা নিয়ে। অন্যদিকে দেখা যায়, ভূত চতুর্দশী পালন করছে সকলে। সিংহ রায় বাড়িতে মানসী প্রদীপ জ্বালছে, অর্ককেও সে ভরসা দিচ্ছে যে এই প্রদীপের আলোয় সব অন্ধকার দূর করবে আর আর্য আবার ফিরে আসবে। অর্ক কিছুতেই রাজি নয় দাদার অনুপস্থিতিতে উৎসব পালন করতে।
শেষে রাজলক্ষ্মী এসে অর্ককে বলতে তারপর সে প্রদীপ জ্বালাতে রাজি হয়। ওদিকে অপর্ণার মাও প্রদীপ জ্বেলে মেয়ের ফিরে আসার প্রার্থনা করছেন। পরদিন গ্রামের পুজোতে অপর্ণা সবার হাতে হাতে কাজ করতে থাকে। গ্রামের প্রধান এসে বলেন, যেহেতু তাঁরা পুজোর সময় গ্রামে এসেছে তাই তাদের জন্য উপহার আছে। এরপর নতুন পোশাকে আর্য আর অপর্ণাকে সাজিয়ে দেয় সবাই।
আরও পড়ুনঃ অবশেষে ইন্দ্রাণীর সামনে কুসুম-আয়ুষ্মানের বিয়ের সত্যি! ‘কুসুম’-এর নতুন প্রোমোতে পুরস্কারের মঞ্চে ইন্দ্রাণীর চোখে জল, গাঙ্গুলী পরিবারে নতুন ঝড়! এবার কি সত্যিই বাড়ি ছাড়তে হবে কুসুমকে?
এদিকে কিঙ্কর হন্যে হয়ে আর্যকে খুঁজছে, কেউ কোনও খবর দিতে পারছে না। হঠাৎ তার মনে হয়, যে জায়গায় আর্যকে শেষ দেখেছিল নিশ্চই ওখানে গেলে কিছু একটা পাবে। ওখানে গিয়ে উদ্ধার কর্মীদের জিজ্ঞেস করতে তারা বলে, ভূমিকম্পের পর অনেক বৃষ্টি হবার সবকিছু প্রায় ভেসে গেছে। কিঙ্কর আশেপাশের গ্রামে খোঁজ নেয়।
অবশেষে আর্যর হদিস পায় মাধবপুরে।
অন্যদিকে আবার দেখা যায়, কেউ একটা মেঘরাজকে বন্দী করে রেখেছে অন্ধকার ঘরে। নানার রকম অত্যাচার করা হচ্ছে তার সঙ্গে, অপর্ণার খোঁজ জানতে। শেষে দেখা যায়, গ্রামের একটি বাচ্চার জন্য আর্য বাজি কিনতে যায়, এই সুযোগে অপর্ণার মা তাকে নিয়ে চলে যান। দেখা যায় তিনি গাড়ি চালাতে পারেন, অপর্ণার সন্দেহ হয় যে এটা মা না।