জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, অপর্ণা আর্যর গাড়ির পেছনে ছুটতে ছুটতে পড়ে যায় আর হাত কেটে র’ক্ত পড়তে শুরু করে। কিঙ্কর হঠাৎ এসে অপর্ণাকে বলতে থাকে যে, আর্য একটা আলেয়ার মতো। যাকে দূর থেকে ভালো মনে হলেও, কাছে গেলে আর ছোঁয়া যায় না।
আর্য গাড়ি নিয়ে ফের ফিরে আসে। তাঁকে দেখা মাত্রই কিঙ্কর কিছু না বলেই চলে যায়। এরপর আর্য অনেক করে অপর্ণাকে বোঝাতে থাকে যে, তার বাবার কথা একেবারেই অর্থহীন না। বরং তিনি ঠিকই করছেন অপর্ণার সঙ্গে হিন্দোলের বিয়ে দিয়ে। আর্য চলে যেতে অপর্ণা বাড়ির দিকে আসতেই দেখে তার মা অপেক্ষা করছেন। আর্যর জন্য অপুর পাগল পাগল অবস্থা দেখে উনি অপুকে স্বাভাবিক হতে বলেন।

অপর্ণাকে তিনি জানান, ভবিষ্যৎ খুব ভালো হবে হিন্দোলের সঙ্গে বিয়ে হলে। কিন্তু অপর্ণা জানায়, আর্যকে যতটা ভালোবেসেছে, ততটা জীবনে আর কাউকে দেওয়া সম্ভব নয়। বেঁচে থাকতে চায় না অপর্ণা আর, নিজেকে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে বলে জানায় সে। মেয়ের মুখে এইসব শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা। রাতে খাওয়ার সময় অপর্ণা কোনও কথা বলে না মা-বাবার সঙ্গে।
অন্যদিকে, অফিসে ফিরেই আর্য নিজের কেবিনে গিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে। কিঙ্কর আর্যর অসহায়তার সুযোগ নিয়ে নানান কটূক্তি করে যে, সুপুরুষ নয় আর্য। আর্যকে প্রথমবার চোখের জল ফেলতে দেখে কিঙ্কর বলে, এসব তাঁকে মানায় না। শুরুর দিন থেকেই অপর্ণার সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানো উচিৎ ছিল। এতক্ষণ সব সহ্য করার পর, আর্য রেগে গিয়ে বেরিয়ে যেতে বলে কিঙ্করকে।
আরও পড়ুনঃ “অভিনয়ই আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে, না হলে হয়তো ভেঙে পড়তাম”, ” স্বামীর সঙ্গে দিনে আধ ঘন্টার বেশি কথা বলা উচিত নয়” ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন থেকে কাজ সব নিয়ে অকপট গার্গী রায়চৌধুরী
কিঙ্কর চলে যাওয়ার আগে হিন্দোলের সম্বন্ধে সব তথ্য এনে দিয়ে বলে আর্য। কিঙ্কর মুখের উপর না করে জানিয়ে দেয় যে, অফিসের কাজ ছাড়া আর আর্যর দেওয়া কোনও ব্যক্তিগত কাজ সে করবে না। এমনকি আর্য যদি তাকে ছাড়িয়ে দেয়, তাও কিঙ্করের কোনও আক্ষেপ নেই! রাতে ঘুমাতে না পেরে রাস্তায় রাত কাটায় অপর্ণা। এদিকে আর্যর পছন্দের ফুলগাছ একদম মৃ’ত প্রায় হয়ে গেছে।