জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“অভিনয়ই আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে, না হলে হয়তো ভেঙে পড়তাম”, ” স্বামীর সঙ্গে দিনে আধ ঘন্টার বেশি কথা বলা উচিত নয়” ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন থেকে কাজ সব নিয়ে অকপট গার্গী রায়চৌধুরী

টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী গার্গী রায়চৌধুরী। অভিনয়ের পাশাপাশি খোলামেলা ব্যক্তিত্বের জন্যও তিনি বরাবরই দর্শকের কাছে প্রিয়। কেরিয়ারের দীর্ঘ পথচলায় তিনি একদিকে যেমন সিনেমা ও থিয়েটারে নিজের ছাপ রেখে গেছেন, অন্যদিকে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও নির্দ্বিধায় কথা বলতে কখনও পিছপা হননি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন জীবনের নানা টানাপোড়েন, সম্পর্কের জটিলতা থেকে শুরু করে নতুন ছবিতে তাঁর অভিনীত চরিত্র নিয়ে মতামত।

অভিনেত্রী জানিয়েছেন বিবাহিত জীবনের অনেক মুহূর্ত তিনি অতিক্রম করেছেন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। ভালোবাসার জায়গা যেমন ছিল, তেমনই ছিল দূরত্ব ও টানাপোড়েন। তিনি খোলাখুলি বলেছেন, সম্পর্ক ভাঙা-গড়া জীবনেরই অংশ। তবে সেই অভিজ্ঞতাই তাঁকে আরও শক্ত করেছে, আরও বাস্তববাদী করেছে। তিনি মনে করেন, জীবনকে একেবারে নিখুঁত ভাবলে হতাশা আসে, বরং ভুলগুলোকেই অভিজ্ঞতা হিসেবে গ্রহণ করা উচিত।

বর্তমানে আলোচনায় রয়েছে তাঁর নতুন ছবি। এখানে তিনি অভিনয় করছেন তরঙ্গিনী নামের এক চরিত্রে। এই চরিত্রের মধ্যে যেমন রয়েছে স্বাধীনতার খোঁজ, তেমনই রয়েছে মানসিক টানাপোড়েন। গার্গীর মতে, তরঙ্গিনী আসলে আধুনিক সমাজেরই প্রতিচ্ছবি, যেখানে নারীরা নিজের জায়গা খুঁজে নিতে চান। চরিত্রটিকে বাস্তবের সঙ্গে মেলাতে গিয়ে তিনি নিজের জীবনের অভিজ্ঞতাকেও কাজে লাগিয়েছেন।

এখনকার দিনে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কাজ করার সুযোগ বাড়লেও গার্গীর কাছে বড়পর্দার গুরুত্ব আলাদা। তাঁর বক্তব্য, সিনেমার হলের অন্ধকার ঘরে বসে বড়পর্দায় গল্প দেখার অনুভূতি একেবারেই অন্য রকম। তবে ওটিটি দর্শকের হাতে কনটেন্ট পৌঁছে দেওয়ার সুবিধা রাখে, তাই তিনি দুই মাধ্যমকেই সমান গুরুত্ব দেন। তাঁর মতে, শিল্পীকে সময়ের সঙ্গে বদলাতে হয়, তাই তিনি নতুন প্ল্যাটফর্মেও স্বচ্ছন্দ।

সবশেষে গার্গী বলেন, জীবন যত কঠিন হোক না কেন, শিল্পই তাঁকে বাঁচিয়ে রাখে। অভিনয় তাঁর কাছে কেবল পেশা নয়, বরং নিজেকে প্রকাশ করার এক বিশেষ মাধ্যম। তিনি বিশ্বাস করেন, যতদিন না অভিনয় করতে পারছেন, ততদিন তিনি বেঁচে আছেন। তাই কাজের প্রতি তাঁর ভালোবাসা কখনও কমেনি। নতুন চরিত্রে নিজেকে খুঁজে পাওয়া, সম্পর্কের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া—এই সবই তাঁকে প্রতিদিন নতুন করে তৈরি করে।

Piya Chanda