জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, অপর্ণাকে উদ্ধার করে আনে আর্য আর কিঙ্কর। অপর্ণার মা উল্টে আর্যকেই দূরে থাকতে বলেন অপর্ণার থেকে। অপর্ণার মায়ের কথায়, আর্য অনেক বড়লোক বলে তার শত্রু সংখ্যাও বেশি। অপর্ণাকে তারা নিশানা করছে বারবার।
এইসবের মধ্যে অপর্ণার জ্ঞান ফিরতেই সে আর্যকে খুঁজতে থাকে আর জড়িয়ে ধরে। অপর্ণার মা বুঝতে পারেন নিজের ভুল যে, আর্য অপর্ণাকে আলাদা করা সম্ভব নয়। এরপর সবাই ঠিক কি ঘটেছিল জানতে চায় অপর্ণাকে। স্পষ্ট না মনে থাকলেও অপর্ণা সবটা বলে। এরপর সে আবার অসুস্থ বোধ করতে শুরু করে এবং অজ্ঞান হয়ে যায়।

আর্য আর অপেক্ষা করতে পারবে না বলে, কিঙ্করকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সবাই আর্যকে আটকানোর চেষ্টা করে যে, আবার যদি কোনও বড় বিপদে পড়ে সে! অপর্ণা অনুরোধ করে কলকাতা ফিরে যেতে, কিন্তু আর্য কারোর কথা শুনতে নারাজ, এমনকি রাজলক্ষ্মীর কথাও সে না শুনে রাতেই বেরিয়ে যায় অপহরণকারীর খোঁজে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে আর্য আর কিঙ্করের চোখে প্রথমেই পড়ে অপর্ণার ছদ্মবেশী মায়ের মৃ’তদেহ। ঘটনাস্থল থেকে একটা অন্য মহিলার শাড়ির কিছুটা অংশ ছাড়া আর কিছু খুঁজে পায় না তারা। আর্যর সন্দেহ হয় যে, অপরাধী খুব বেশি দূরে যায়নি। তাই কিঙ্কর আর আর্য মিলে চারপাশে খুঁজতে থাকে পায়ের চাপ মিলিয়ে মিলিয়ে।
আরও পড়ুনঃ পারুলকে মে’রে ফেলতে গিয়ে ভাগ্যের খেলায় নিজের সর্বস্ব হারাল শিরীনের মা! অন্যের জন্য পাতা মৃ’ত্যু ফাঁদে পড়ল নিজের স্বামী, নিজের হাতে খু’ন করে ভেঙে পড়লেন তিনি! অজান্তেই পারুল হারাল নিজের আসল বাবাকে?
ওদিকে স্বপ্নে অপর্ণা আবার একজন অচেনা মহিলার বিয়ে এবং গৃহপ্রবেশ এর দৃশ্য দেখতে পায়। সারা শরীর জুড়ে কাঁপুনি শুরু হয় অপর্ণার। সবাই চিন্তায় পড়ে যায় তাকে নিয়ে। এদিকে আর্য অপরাধীকে খুঁজতে গিয়ে মেঘরাজকে খুঁজে পায়। আর্য ভাবে মেঘরাজই আসল অপরাধী, কিন্তু সে জানায় অন্য একজন শত্রু আছে যে প্রতিশোধ নিতে ফিরেছে!