জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্য আর অপর্ণা পুজোতে উপস্থিত হলে তাদের পুরোহিত জানান যে এই পোশাকে পুজোয় অংশগ্রহণ করা যাবে না। মন্দির থেকে নতুন পোশাক দেওয়া হবে, সেটা পড়ে আসতে। পুজোয় অংশ নেবে না বলে জানায় আর্য, কিন্তু পুরোহিত জানান এটাই নিয়ম নববিবাহিতদের জন্য।
বাধ্য হয়ে দু’জনে পোশাক বদলাতে যায়। ধুতি-পাঞ্জাবি পরে আসে আর্য, অন্যদিকে অপর্ণা সাদা শাড়ি এবং গা ভর্তি গয়নায় একেবারে স্নিগ্ধ রূপে এসে দাঁড়ায় তার পাশে। আর্য এক মুহূর্তের জন্যও চোখ ফেরাতে পারে না। পুজো শুরু হয়, পুরোহিত জানান এবার তাদের দু’জনকে প্রদক্ষিণ করতে হবে। তারা পায়ে হেঁটে প্রদক্ষিণ করতে গেলে বাধা দেন তিনি, আর্যকে বলেন যে অপর্ণাকে কোলে তুলে নিয়ে প্রদক্ষিণ করতে।

সেটাই করতে বাধ্য হয় তারা। এরপর আরতি করতে বলা হয়। আরতি করতে করতে আর্যর হঠাৎ মনে হয়, এই মন্দির তাঁর খুব চেনা। হঠাৎ মনে পড়ে না রাজনন্দিনীর সঙ্গে এখানে এসেছিল একবার। অন্যদিকে আরতির সময় অপর্ণারও পূর্বজন্মের স্মৃতি ফিরতে শুরু করে আবার। মাটিতে বসে পড়ে সে। চোখের সামনে একটা পাথরের খোদাই করে রাজনন্দিনীর নাম লেখা থাকলেও, ফুলে ঢাকা থাকার কারণে সে দেখতে পায় না।
আর্য হঠাৎ লক্ষ্য করে অপর্না, অস্বাভাবিক ব্যবহার করছে। গায়ে হাত দিয়ে আর্য জানতে পারে, অপর্ণার গা জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে। তড়িঘড়ি করে আশ্রমের ভিতরে শুইয়ে দেওয়া হয় অপর্ণাকে। পুরোহিত ভেষজ ওষুধ তৈরি করে পাঠান তার জন্য। এক বোষ্টমী এসে জলপট্টি ব্যবস্থা করে দেয়। কিছুক্ষণ বাদে বোষ্টমী অপর্ণার পুরনো পোশাক এনে আর্যকে পাল্টে দিতে বলে। আর্য কিছুটা ইতস্তত হয়ে, তাঁর কাছেই সাহায্য চায়।
আরও পড়ুনঃ ‘আমার গণেশ মানে অবাঙালি সাজ নয়! বাঙালি ঘরের মতো সরল রূপই আমার কাছে আসল’, গণেশ পুজোয় বাঙালির অবাঙালি রীতি নিয়ে মুখ খুললেন ভাস্বর চ্যাটার্জী
বোষ্টমী বলে স্বামী হিসেবে আর্যর কর্তব্য স্ত্রীর জন্য এইটুকু করা। এদিকে কিঙ্কর অবশেষে আর্যর খোঁজ পায়। সকালে অফিসের সবাইকে কি বলবে এটাই বুঝে উঠতে পারছে না সে। অন্যদিকে অপুর মা-বাবা সারারাত ঘুমান না মেয়ের চিন্তায়। আর্য সারারাত বসে অসুস্থ অপর্ণার সেবা করে যায়। সকালে মীরা আর কিঙ্কর আর্যদের খোঁজ করতে গেলে মন্দির থেকে জানানো হয় এক স্বামী-স্ত্রী বিপদে পড়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন রাতে।