জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, মানসী অ্যালবাম থেকে একটা বাচ্চা মেয়ের ছবি খুঁজে পায়। তারপর অর্ককে এই নিয়ে প্রশ্ন করতেই সে আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে। রাজলক্ষ্মী এসেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে না, তখন আর্য এসে ভাইয়ের এই অবস্থা দেখে খুব রেগে যায়।
মানসীকে প্রশ্ন করে, কে অধিকার দিয়েছে স্টোর রুমে ঢুকে অতীত নিয়ে আলোচনা করার? মানসী কিছু উত্তর দেওয়ার আগেই আর্য রেগে গিয়ে বেরিয়ে যেতে বলে। রাজলক্ষ্মী ভেঙে পড়ে ওই ছবিটা দেখে, আর্য সান্তনা দিয়ে বলে যে এত বছর পর যদি সব জানাজানি হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে নিয়তি। এদিকে অপু বাবাও খুব রেগে আছেন, মীরা এসে অপুর নামে যেসব কটুক্তি করে গেছে তাই নিয়ে।

অপুকে বারবার প্রশ্ন করেন মা-বাবা, অপু শুধু তার উপর একটু ভরসা রাখতে বলে। অপুর বাবা বলেন, অপু যদি ঐ অফিসে আর যায় তাহলে মরা-মুখ দেখবে। তবুও অপু জেদ করে রাতেই অফিসে চলে যায়, বাবা হতাশ হয়ে জানান যে মাঝে মাঝেই অপুকে তিনি চিনতে পারেন না। অপুও বলে সেও নিজেকে চিনতে পারে না। এরপর অফিসে গিয়ে বিদেশি ক্লাইন্টদেয় সঙ্গে কনফারেন্স শুরু করে।
সারারাত ধরে নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদে অপু কাজ করেই চলে। অন্যদিকে মানসী অপমানিত হয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে ঠিক করে। বাপের বাড়ির লোক ডেকে সুটকেস করে জিনিস গাড়িতে তুলতে বলে। এমন সময়ে রাজলক্ষী এসে মানসীকে বোঝানোর চেষ্টা করে, যে আর্য তাঁকে দাদার মতো ভালবাসে। বোনকে একটু বকেছে বলে সে বাড়ি ছাড়বে কেন? কিন্তু মানসী বলে, এই অপমানের পর সে আর থাকবে না।
আরও পড়ুনঃ পর্দায় হাসিমুখে শোলাঙ্কি, দর্শকের মনে ফিরল পুরনো উত্তেজনা! আবার কি ধারাবাহিকে ফিরছেন খড়ি? নতুন রূপে অভিনেত্রীর এক ঝলক ঘিরে তুঙ্গে চর্চা! কোন চ্যানেলে আসছে শোলাঙ্কির নতুন ধারাবাহিক?
মানসীর অভিযোগ, বাড়িতে তার বউয়ের সন্মান টুকুও নেই। সবকিছু আর্যর কথায় চলে এই বাড়িতে, এমনকি বাড়ির কোনও ঘটনা তাকে জানানো হয় না। আর্য ক্ষমা চায় মানসীর কাছে, মানসী জানতে চায় যে ছবির বাচ্চা মেয়েটি কে না বললে সে এই বাড়িতে থাকবে না। অর্ক অসুস্থ অবস্থায় এসে জানায় ওই মেয়েটি তাদের কেউ হয় না। রাজলক্ষ্মী যদিও বলেন মেয়েটি তাদের খুব কাছের একজন, তবুও নাম বলেন না।
এদিকে মানসীও ছাড়ার পাত্রী নয়, সে ঠিক করে যে এই রহস্যের সমাধান এই বাড়িতে থেকেই করতে হবে। আর্য মানসীকে অনুরোধ করে অর্ককে নিয়ে ঘরে যেতে। এরপর দেখানো হয়, হাসপাতালে আর্যর পুরোনো শত্রু দেবরাজ ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে। শেষে দেখা যায় সকাল হয়ে গেছে, অপু কাজ করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছে অফিসেই। নিজেকে কি প্রমাণ করতে পারবে অপু? সেটাও এখন দেখার!