জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, রাতের খাবার খেতে বসে অপুর গলা দিয়ে ভাত নামছে না। আর্যর জন্যে দুশ্চিন্তায় শেষ হয়ে যাচ্ছে সে। খাওয়ার ছেড়ে অপু আর্যর খোঁজ করতে যেতে চায়, কিন্তু বাবা বাধা দিয়ে বলেন, আরও সমস্যা বাড়বে বৈ কমবে না অপু যদি হস্তক্ষেপ করে। অপুও জানিয়ে দেয়, তাদের বিপদে-আপদে সবসময় আর্য পাশে এসে দাঁড়ায়।
কর্মসূত্রে অপুরও একটা দায়বদ্ধতা আছে আর্যর প্রতি। রাস্তায় গিয়ে বারবার আর্যকে ফোন করতে থাকে সে, কিন্তু কিছুতেই কোনও উত্তর মেলে না। অন্যদিকে অর্ক কিঙ্করকে গিয়ে আর্যর নিখোঁজ হওয়ার কথাটা জানায়, মীরাও দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে আর্যকে নিয়ে। কিঙ্কর খোঁজ লাগিয়ে জানতে পারে, যেখানে শেষ ফোন ট্রাক করা গেছে আর্যর, সেখানে অপর্ণাও ছিল।
মীরা আবার অর্ককে মনে করিয়ে দেয়, যে অপর্ণা খুব খারাপ। নিশ্চয়ই অপর্না ক্ষতি করেছে আর্যর। তারপর কিঙ্করের সঙ্গে দুজনে মিলে আর্যর খোঁজ করতে যায়। মীরা মনে মনে বলে, অপর্ণার জন্যে যদি আর্যর কোনও ক্ষতি হয়, তাহলে শেষ দেখে ছাড়বে সে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে আর্যকে দেখতে পায়না কেউ, কিন্তু সেই অজ্ঞাত পরিচয় পাগল ব্যক্তি এসে কিঙ্করকে সাবধান করতে থাকে।
হঠাৎ রেগে গিয়ে কিঙ্কর সেই পাগলকে খুব মারে, আর পাল্টা সাবধান করে হুশিয়ারি দেয়। এদিকে রাজলক্ষ্মী এখন খুব চিন্তা করছে আর্যকে নিয়ে, এমন সময় অর্ক বাড়ি ফিরে জানায় যে আর্য নাকি অপর্ণার সঙ্গে ছিল শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী। রাজলক্ষ্মী সবটা শুনে, অপর্ণার সঙ্গে দেখা করতে যান। অপর্ণা আবার সম্মুখীন হয়, তাঁরা সুন্দরী মায়ের। তিনি বলেন, ঝড় উঠেছে!
আরও পড়ুনঃ দিতিপ্রিয়া-জীতুর মতভেদ মিটল, গুঞ্জন কাটিয়ে আবারও একসঙ্গে শুটিংয়ে! সহ-অভিনেতার ‘অশো’ভন’ আচরণ কী ছিল মিথ্যে রটনায় প্রচার কৌশল? এত বড় বিতর্কের নিষ্পত্তি হয়ে গেল এত সহজেই?
এবার সব অতীত ফিরে আসবে আর নতুনরা হারিয়ে যাবে। অপর্ণা কিছু বুঝতে পারে না, পরক্ষণেই সেই পাগল ব্যক্তিকে দেখে অপর্না কাছে যেতেই, ভয়ে পালিয়ে যায় সে। বাড়ি ফিরে অপু দেখে রাজলক্ষ্মী তার অপেক্ষা করছেন, আর্যর সঙ্গে কি কথা হয়েছিল জানতে চান তিনি। অপু চুপ করে থাকায় তিনি বুঝে যান, ঘর থেকে বেরোতে গিয়ে পায়ে চোট পান তিনি। অপু ওষুধ লাগিয়ে দেয় পায়ে, এরপর একটা ফোন আসে আর্যর দুর্ঘট’নার খবর নিয়ে।