জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘জোয়ার ভাঁটা’র (Jowar Bhanta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, রিসর্টে সবাই যখন ঋষির নিখোঁজ হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন, তখন এক অচেনা ব্যক্তির আগমন ঘটে সেখানে। সেই ব্যক্তি সোজা উজির গলায় ছু’রি ধরে মেরে ফেলার হু’মকি দেয়। কেউ কিছুই বুঝতে পারে না, এই লোকটা কে বা কোথা থেকে এল!
সবাই যখন চিন্তায়, তখন ঋষির কাকা আবার সন্দেহের তীর ছুঁড়ে দেয় নিশা-উজির দিকে। তিনি বলেন, প্রথমদিন থেকেই তার মনে হয়েছিল যে কিছু একটা গণ্ডগোল আছে এই বোনেদের অতীতে। তিনি ওই ব্যক্তিকে প্রশ্ন করতে থাকেন নিশাদের অতীত নিয়ে। এদিকে হঠাৎ ঋষির মা এসে উপস্থিত হন। তিনি জানান, ঋষি বলেছে পৌঁছে যেতে, সে-ও তাড়াতাড়ি চলে আসবে।

উজি ওরফে জ্যোতির গলায় ছুরি দেখে তিনিও ভয় পেয়ে যান এবং ছেড়ে দেওয়ার আকুতি করতে থাকেন। এরপর নিরাপত্তা রক্ষীদের ডাকা হলেও, ওই ব্যক্তি বলে কাউকে ভয় পায় না। সবাই ভাবতে থাকে এরা নিশ্চই জ্যোতির প্রাক্তন, যে বিয়ের কথা শুনে বদলা নিতে এসেছে। নিশা-উজির সাজানো বাবা বলেন যে তার মেয়ে কোনদিনও প্রেম করেনি, এরম কিছু হতেই পারে না।
এরপর উজি সবার সামনে সত্যিটা আনে। সে জানায় ঋষি এরম করে ভয় দেখাচ্ছে সবাইকে, এটা কোনও আততায়ী নয়! সবাই সত্যিটা জেনে রীতিমত চমকে যায়। কেউ চিনতে না পারলেও জ্যোতি কী করে চিনলো, জানতে চায় সকলে। জ্যোতি জানায়, সে পারফিউমের সৌরভে চিনতে পেরেছে ঋষিকে। শুনে আরও মুগ্ধ হয়ে যায় ঋষি।
আরও পড়ুনঃ বড্ড একঘেয়ে ঘ্যানঘ্যানে, প্যানপ্যানে অভিনয়! দর্শকদের অভিযোগ উজির চরিত্রে রয়ে গেছে মিঠিঝোরার রাইপূর্ণা’র ছাপ! তাঁর জন্যই কি কমছে ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা? কী মত আপনাদের?
এদিকে নিশা রীতিমত রেগে গিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেয় সকলের সামনে। সে বলে যে, জ্যোতি আর ঋষির বিয়ে নিয়ে অনেকের আপত্তি আছে সেই জন্য বারবার সন্দেহ করে তাদের। ঋষির জন্য সবার সন্দেহ আবার প্রকাশ পেয়েছে, তাই বিয়েটা সে আর দিতে চায় না তার বোনের। কোনও রকমে ঋষির মা-বাবা ক্ষমা চেয়ে পরিস্থিতিটাকে সামাল দেয়।
সবাই চলে যেতেই, ঋষি জ্যোতির হাতটা টেনে ধরে। সে তারপর ক্ষমা চায় এইসব করার জন্য। জ্যোতিকে জানতে চায়, সে রাগ করেছে কি না। মুহূর্তেই উজির চোখের সামনে বাবার কথাটা ভেসে ওঠে। সে তাও ক্ষমা করে দেয় ঋষিকে, কারণ একটু হলেও তার মনে অনুভূতি তৈরি হয়ে। এটা জানতে পেরে যায় নিশা, নিজের বোনকে সাবধান করে দেয় যেন বাবার খু’নির প্রেমে না পড়ে!
