বাংলা টেলিভিশনের টিআরপি তালিকায় এখন দাপট দেখাচ্ছে জি বাংলার একাধিক ধারাবাহিক। এই মুহূর্তে জি বাংলার পর্দায় অন্যতম ধামাকাদার সিরিয়াল হচ্ছে খেলনা বাড়ি। রীতিমতো চমকে দেওয়া সব পর্ব দেখানো হয় এই ধারাবাহিকে। উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকের নায়িকা শুরু থেকেই ভীষণ প্রতিবাদী স্বভাবের। যদিও বর্তমানে নিম্নমুখী এই ধারাবাহিকের টিআরপি।
এমনকী টালিপাড়ায় গুঞ্জন মিঠাই পরবর্তী এই ধারাবাহিকটিও নাকি বন্ধ হতে চলেছে। আসলে সবটাই নির্ভর করছে টিআরপির ওপর। আসলে বিরাট বড় লিপ নিয়ে বয়স বাড়লেও মিতুলের প্রতিবাদী সত্ত্বা কিন্তু এখনও কমেনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও গল্পের জমাটি বুনন ঢিলে হয়ে যাওয়ায় এই ধারাবাহিক টিআরপি নিম্নগামী।
টিআরপি তালিকায় একটা সময় ভীষণ ভালো স্থানে ছিল এই ধারাবাহিক। আসলে একটি ধারাবাহিককে হিট করার জন্য যা যা লাগে যেমন পরকীয়া, কূটকচালি, ষড়যন্ত্রের জাল সব রকম উপাদানই মজুদ এই ধারাবাহিকে। উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকের আসল ভিলেন নায়কের সৎ ভাই রণ। আর গুগলির মানি অনামিকা। যদিও খেলনা বাড়ির মিতুলকে লেডি রঞ্জিত মল্লিক বলা হয়। আসলে যে কোনও বিপদের হাত থেকে নিজের পরিবারকে রক্ষা করে চলেছে সে।
বিভিন্ন বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার পর ফের একবার বিপদের মুখে ইন্দ্র-মিতুল। স্মৃতিভ্রষ্ট হয়েছে ইন্দ্রর। আর অন্যদিকে পুলিশ আবার ইন্দ্রকে গুন্ডা নিহাল সিং ভেবে জেলে পুড়েছে। পুলিশ কোনভাবেই মানতে রাজি নয় যে ইন্দ্র নিহাল সিং নয়।
কিভাবে মিতুল প্রমাণ করবে যে ইন্দ্রবাবু নির্দোষ তিনি কোনও গুন্ডা নন! এদিকে যে স্মৃতিও ফিরে পাচ্ছেন না ইন্দ্র বাবু। আসলে বাংলা ধারাবাহিকে টিআরপি বাড়াতে এখন ভরসা গুন্ডাগিরি। যেমন কিছুদিন আগেই ধারাবাহিক সোহাগ জলে নায়ক শুভ্রের মতোই দেখতে একটি গুন্ডা এসে উপস্থিত হয়। আর এবার ইন্দ্র স্বয়ং গুন্ডা হয়ে জেলে। কী করে উদ্ধার করবে মিতুল?