জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

রায়ানের গোপন চিঠিই এখন বড় রহস্য! চিঠি প্রকাশ পেলে বদলে যাবে পারুলের সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ! অহংকার ছেড়ে আত্মসমালোচনার পথে হাঁটছে সে! পারুলের সঙ্গে তবে কীসের প্রতিযোগিতা? কী লেখা আছে চিঠিতে, সত্যিই কি পারুলকে ভালোবেসে ফেলেছে সে?

জি বাংলা ‘পরিণীতা’তে (Parineeta) রায়ানের আচরণ নিয়ে এখন দর্শকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। একদিকে অনেকেই বলছেন, আগের মতো সেই খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে আর ইগো-চালিত রায়ান নাকি আবার ফিরে আসছে! অন্যদিকে কিছু দর্শক মনে করছেন, তার ভিতরে যে বদলটা ধীরে ধীরে হচ্ছিল, এখন সেই পরিণত রূপটাই স্পষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে রায়ানের চিঠির প্রসঙ্গ উঠতেই যেন চরিত্রটাকে নতুনভাবে প্রকাশ পাচ্ছে। কারণ ওই চিঠিটা শুধু পারুলকে হারানোর জেদ নয়, তার নিজের অতীত থেকে নিজের ভয় আর নিজের সীমাবদ্ধতাকে নিয়ে একধরনের আত্মসমালোচনা।

রায়ান এতদিন যেটা মুখে স্বীকার করত না, এখন সেগুলোকে সহজেই করতে পারছে। সাম্প্রতিক পর্বের ঘটনাগুলো দিয়ে বুঝতে সমস্যা নেই যে, পারুলকে সে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখে ঠিকই কিন্তু সেই প্রতিযোগিতার কারণটা বাইরের নয়, পুরোটা তার নিজের ভিতরের লড়াই! একসময় পরীক্ষার খাতায় দু’লাইন লেখারও যোগ্যতা ছিল না তার, সাদা কাগজ জমা দিয়ে উঠে যেত। সেই ছেলেটাই যখন দেখে পারুল নিজের অর্জন দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন তার মধ্যে তুলনার অনুভূতিটা আরও তীব্র হয়।

যে কারণে পারুলের সঙ্গে যৌথভাবে প্রথম হওয়ার পরও সে শান্ত হতে পারেনি। অথচ একই রায়ান আবার পারুলের কাজের প্রশংসাও করে, যে কাজ তার চিন্তার বাইরে। এই স্বীকারোক্তিটাই দেখায় তার চরিত্রের বদলটা কতটা গভীর। চিঠির প্রসঙ্গটাও এই কারণেই এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভুবনেশ্বরের পুজোকে কেন্দ্র করে যে সমস্ত ইচ্ছে লেখা হয়, সেগুলো নাকি বছরের মধ্যে পূরণ হয় আর এই বিশ্বাস থেকেই রায়ান লুকিয়ে চিঠি লেখে। সেই চিঠিটা যেন রায়ানের দীর্ঘদিনের গোপন সংগ্রামের এক ঝলক, যা সে শুধুমাত্র দর্শকদের কাছে বলতে চায়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারে না!

হঠাৎ পারুল সেখানে উপস্থিত হওয়াতে সে চিঠিটা লুকিয়ে ফেলে ঠিকই, কিন্তু তার চোখে মুখে যে চাপা টান স্পষ্ট! আর সেটাই বোঝায় এই প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা শুধুই পড়াশোনা বা নম্বরের নয়, নিজের প্রমাণ করার ক্ষুধা আর স্বীকৃতি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষার। বেশ মজার বিষয় হলো, যে রায়ানকে অনেকেই স্বার্থপর বলে অভিযোগ করছেন। কিন্তু তাকেই আবার দেখা যায় পারুলের উন্নতিতে সত্যিই গর্ব বোধ করতে। যেখানে পারুল চায় রায়ান প্রথম হোক, সেখানে রায়ান প্রথম হতে চায় পারুলকে হারিয়ে নয় বরং নিজের ক্ষমতা প্রমাণ করে।

চরিত্রটাকে এইভাবে টানাপোড়েনের মাঝে দাঁড় করানোয় গল্পটা আরও বাস্তব হয়ে উঠেছে। রায়ানের ভেতরের ইগো আর বড় হওয়ার খিদে, এই দুই দিক এখন পাশাপাশি চলতে থাকা এক অদ্ভুত মানসিক যাত্রা। আগামী কয়েকটি পর্বে রায়ানের চিঠির বিষয়বস্তু প্রকাশ হলে, তা গল্পের মোড় ঘোরাবে বলে প্রত্যাশা দর্শকদের। কারণ সেখানে লুকিয়ে আছে রায়ান কেন এতদিন ধরে পারুলকে হারানোর চেষ্টা করছে সেই সত্যিকারের কারণ। সেটা কি প্রতিশোধের তাড়না, স্বীকৃতির ক্ষুধা নাকি নিজের অতীতের অক্ষমতা থেকে মুক্তির চেষ্টা? উত্তরটা জানতে দর্শকদের কৌতূহল তুঙ্গে, তবে উত্তর দেবে সময়ই।

Piya Chanda