জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

শেষ মুহূর্তে গোপালের ভালোবাসায় হার মানল রুক্মিণী! বিদেশে যাওয়ার আগে গোপালকে জড়িয়ে ধরল রুক্মিণী! রুক্মিণীকে বুকে জড়িয়ে কেঁদে ভাসাল গোপাল! হঠাৎ বি’স্ফো’র’ণে কেঁপে উঠল ন্যাড়া-গোয়াল! ভালোবাসা কি ফেরাবে রুক্মিণীকে?

জি বাংলার ‘পরিণীতা’তে (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় ন্যাড়া-গোয়ালে পৌঁছেই পারুল দেখে রুক্মিণী অনেক জিনিসপত্র আর ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পারুল প্রশ্ন করতে গোপাল বলে, রুক্মিণী বিদেশের বড় কোম্পানিতে কাজ পেয়েছে। সেই জন্য রুক্মিণী চলে যাচ্ছে। পারুল গোপালের ভবিষ্যতের কথা ভেবে রুক্মিণীকে প্রশ্ন করে।

রুক্মিণী পারুলকে বলে, তাঁদের মধ্যে সেই সম্পর্কটাই ছিল না কোনও দিনও। তবুও সে চলে গেলে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হবে গোপালের, একসঙ্গে এতোগুল দিন থেকেছে। পারুলকে রুক্মিণী অনুরোধ করে, গোপালের কষ্ট ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য। পারুল বলে, মানুষের জীবনে ভালোবাসা একবারই আসে। শেষ পর্যন্ত হয় সেই ভালোবাসা সুখ দেয়, নাহলে সবকিছু নষ্ট করে চলে যায়।

এদিকে রানু আর মালতী রুক্মিণীকে অন্নপূর্ণা মায়ের আসনে বসিয়েছে, তাঁরা বলে সে চলে গেলে তারা অনাথ হয়ে যাবে। এরপর নিজের থেকে গিয়ে রুক্মিণী গোপালকে প্রমাণ জানিয়ে বলে, তার জীবনে উত্তরণের একমাত্র কৃতিত্ব গোপালের। গোপালও আর চুপ করে থাকতে পারে না। সে স্বীকার করে নেয়, রুক্মিণীকে সে ভালোবাসে। বরং গোপাল রুক্মিণীকেই তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় উত্তরণের কান্ডারী বলে মনে করে।

রুক্মিণীকে গোপাল প্রথমদিন থেকেই ভালোবাসে আর শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তা করেই যাবে— এই কথা শুনেই রুক্মিণী নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে না, বরং গোপালকে বিয়ের পর এই প্রথমবার আলিঙ্গন করে সে। কিছু মুহূর্তের জন্য দুজন নিজেদের মধ্যে আশ্রয় খুঁজে পায়। লুকিয়ে এই ঘটনা ভাদু দেখে ফেলে, গোপালের মা-কাকিমাকে ডাকতে যায়।

এদিকে রুক্মিণীকে নিয়ে রায়ান রওনা দিতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে গোপাল। পারুল সান্তনা দিয়ে বলে, সেও এবার বসু বাড়ির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে চলে এসেছে। গোপালের মা-কাকিমা আসতেই, বোকা, কাপুরুষ ইত্যাদি বলে অনেক কথা শোনাতে থাকে। দাদার অপমান পছন্দ হয় না পারুলের। সে বলেই ফেলে, রুক্মিণী না জানিয়ে গেছে শুধুমাত্র তাদেরই জন্যে। শ্বশুরবাড়ি কখনোই আপন করতে পারেনি রুক্মিণীকে,

আরও পড়ুনঃ “আমাদের যুগের শ্রেষ্ট অভিনেতা-অভিনেত্রী ওরা”— পুরনো সহকর্মীদের নিয়ে আবেগপ্রবণ প্রসেনজিৎ! জনপ্রিয়তার চূড়ায় থেকেও, তাপস পাল আর দেবশ্রী রায়কে এখনও সেরা মনে করেন বুম্বা!

তাই স্বপ্নের ডাকে সাড়া দিয়েই সে চলে গেছে। গোপালের মা জানান, আশুতোষ বসুকেই ফোন করে সবটা জানাবেন কারণ উনিই গোপাল-রুক্মিণী বিয়ে তিনিই দিয়েছিলেন। হঠাৎই দূরের সিমেন্ট কারখানার বিস্ফো’রণ হয় এক এর পর এক। পারুল বলে, কিছুক্ষণের মধ্যে কোনও উচু জায়গায় না পৌঁছাতে পারলে, বিষাক্ত রাসায়নিকের জেরে সবার মৃ’ত্যু হবে। এবার কি হবে, জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

Piya Chanda