“ভালোবাসি কিন্তু বন্ধু হিসেবে!”—রায়ানের এক কথায় ছারখার পারুলের হৃদয়! শেষমেশ ভেঙেই গেল ‘পরিণীতা’র রায়ান-পারুলের স্বপ্ন! রায়ানকে মুক্তি দিতে এবার বিয়ে ভাঙবে পারুল!

জি বাংলার ‘পরিণীতা’তে (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় রায়ান মন আর মাথার সঙ্গে দ্বন্দ্বে পড়েছে, মন বলছে সে পারুলকে ভালোবাসে আর সেই কথাটা জানিয়ে দিতে। অন্যদিকে মাথা বলছে একবার যদি রায়ান জানিয়ে দেয়, তাহলে দাদুর মতো পারুলও তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবে। তাঁর চারিদিকে গণ্ডি কেটে দেবে, ঠিক যেমনটা সেই ফর্ম ফিলাপের সময় করেছিল।

এরই মধ্যে রায়ানের বাবা এসে পরামর্শ দেন, পারুল খুব ভালো মেয়ে আর রায়ানের চোখেও স্পষ্ট তাঁর জন্য ভালোবাসা। তাই এতো না ভেবে বলে দেওয়ায় ভালো। রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়েছে, শুধুমাত্র পারুল আর রায়ান জেগে রয়েছে। পারুল একদিন রায়ানের আবার প্রস্তাব দেওয়ার অপেক্ষা করছে আর পুরনো স্মৃতি ভেবে মনে মনে আনন্দ পাচ্ছে। অন্যদিকে রায়ান নিজের মন আর মাথায় সঙ্গে লড়াই করছে।

রায়ানের মনে পরে পারুল তাঁর পাশে সবসময় থাকবে বলেছিল কিন্তু ফর্ম ফিলাপের সময় দাদুর কথা মতই চলেছে। রায়ানের মন বলে পারুল যা করেছে তার ভালোর জন্যই করেছে কিন্তু পরক্ষণেই মনে হয় ন্যাড়া গোয়ালের সবাই একই রকম যতই হোক পারুল ওখানের মেয়ে। একবার রায়ানের মনে হয়, এখন থেকেই সকাল সকাল তাকে ঘুম থেকে তুলে দেওয়ার রুটিন তৈরি করা।

এইসব করে পারুল কর্তৃত্ব ফলাতে চাইছে, তারপরেই সে মনে করে, পারুল তাকে ভালো পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য করছে এসব। সব ভাবনার চিন্তার মধ্যে ভেঙে পড়ে রায়ান। এদিকে দেখা যায় ভোররাতে পারুলের দরজায় এসে দাঁড়িয়েছে সে। পারুল দরজা খুলতেই প্রেম নিবেদন করে রায়ান, দুজন দুজনকে জড়িয়ে সারা জীবন সাথে থাকার শপথ নেয়।

কিন্তু এসব আসলেই ছিল পারুলের স্বপ্ন। বাস্তবে রায়ান তার দরজায় এসে দাঁড়ালে পারুন আরও উৎসাহী হয়ে যায় স্বপ্ন সত্যি হওয়ার আশায়। কিন্তু এবার রায়ান বলে সে পারুলকে ভালোবাসে ঠিকই কিন্তু বন্ধুর মতো। তার মনে যে প্রেমিকার ছবি আছে সেটা দারুন নয়। পারুলের সাথে থাকলে সে একটা শক্তি পায়, তার সঙ্গে ঝগড়া না করলে দিন কাটে না।

আরও পড়ুনঃ টিআরপিতে রাজত্ব ‘পরশুরাম’-এর , পিছু হটল ‘জগদ্ধাত্রী’, ‘ফুলকি!’ কোথায় দাঁড়িয়ে বাকি ধারাবাহিকেরা?

কিন্তু এই সম্পর্ককে প্রেমে পরিণত করা যাবে না। পারুল কে ধন্যবাদ জানায় একদিন সময় দেওয়ার জন্য। পারুল জানতে চাই এই একদিনে তার কি এমন মনে হল যার জন্য প্রেম থেকে বন্ধুত্বের ফিরে গেল সে। রায়ান জানায় সে কোনও বন্ধনে আটকে থাকতে চায়না, মুক্ত হতে চায়। পারুলও সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়, মুক্তি যদি দিতেই হয় তাহলে এই বিয়ে ভেঙে মুক্তি দেবে সে।