জি বাংলার ‘পরিণীতা’ (Parineeta) র আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় পারুলকে মনে করে রায়ান খুব ভেঙে পড়ে। বারবার পারুলের সঙ্গে কাটানো ভালো মুহূর্তগুলো চোখের সামনে ভেসে ওঠে তার। পারুলের খাতাটা জড়িয়ে কাঁদতে থাকে সে। পারুলের উদ্দেশ্যে বলে, তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে তারপর দুজনে মিলে আবার নাটক করবে, আগের রাতে পড়ে পরীক্ষা দেবে, টিফিন ভাগ করে খাবে। এইসব ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে পড়ে সে।
অন্যদিকে পারুলকে তূর্য বলে রায়ান খুব তাড়াতাড়ি হয়তো তাঁদের খোঁজ পেয়ে যাবে, কিন্তু তার আগেই পারুলকে সরিয়ে দেবে সে। পারুল এরপর ভাবে যে রায়ানকে জানান দিতে হলে তূর্যের সাথে হাত মেলাতে হবে, তূর্যকে মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে পারুল বলে যে সে এখন শুধু তাঁরই। একটা রাত কেটে গেলেও রায়ান তাঁকে খুঁজতে পারেনি উল্টে হয়তো শিরীনের সাথে পার্টি করছে।

তূর্য খুব খুশি হয়ে যায় এই কথা শুনে। পারুল জল চাইলে তূর্য ব্যবস্থা করতে যায়, ঠিক সেই সময় পারুলের চোখ পড়ে একটা ভাঙা কাঁচের দিকে। কোনও রকমে সেই টুকরোটা হতে তুলে নেয় সে। অন্যদিকে রায়ান ঘুম থেকে উঠতেই মনে হয়, যে সব জায়গা খুঁজলেও ইউনিভার্সিটির ভেতরে তো খোঁজ হয়নি। মোল্লারকে সাথে করে সে ইউনিভার্সিটির সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হয়, যে পারুল ভেতরেই কোথাও আছে।
বন্ধুদের আর পুলিশকে খবর দেয় রায়ান। সবাই মিলে খুঁজতে শুরু করে পারুলকে। এদিকে পারুল ওই কাঁচের সাহায্যে আলো দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় ল্যাবে, ধোঁয়ায় ভরে যায় চারিদিক। তূর্য বুঝে যায় যে পারুল রায়ানকে বোঝাতেই আগুন লাগিয়েছে। তূর্য তাড়াতাড়ি করে সব দরজা জানলা আটকে দিয়ে বলে, একসাথে তো বাঁচা হলো না কিন্তু একসাথেই মরবে দুজনে। ধোঁয়ায় চারিদিক ভোরে যায়, রায়ান লক্ষ্য করে যে একটা ঘর দিয়ে ধোয়া বেরোচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ আরাত্রিকার জীবনে নতুন মাইলস্টোন! একটুর জন্য ট্রফি না জিতেও জায়গা করে নিয়েছেন সুরের দুনিয়ায়! গায়িকার মুকুটে জুড়ল নতুন পালক
তাড়াতাড়ি ছুটে গিয়ে পারুলকে ডাকতেই পারুল সারা দেয়। কিন্তু তূর্য ধরা পড়ার ভয় বলে পারুলকে সে না পেলে মরতে হবে তাঁকে, দিয়ে শ্বাস’রোধ করার চেষ্টা করে অজ্ঞান করে দেয় পারুলকে। রায়ান কোনও রকম দরজা ভেঙে যায় ঢুকতেই পারুলকে শুয়ে থাকতে দেখে। অনেক চেষ্টা করার পরেও জ্ঞ্যান ফেরেনা তাঁর। এদিকে তূর্য সুযোগ বুঝে রায়ানকে মারতে যায় পেছন থেকে। এরপর কি হবে জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।