জি বাংলার ‘ফুলকি’ (Phulki) তে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় স্বাগতা ম্যাডাম আর ফুলকি মিথ্যে ফাঁদে আটকা পড়েছে, সেখানে কয়েকজন গুন্ডা মিলে ঘিরে ধরে তাঁদের। হঠাৎ একজন মুখ ঢাকা লোক ব’ন্দু’ক নিয়ে হাজির হয় সেখানে। ফুলকির দিকে ব’ন্দু’ক তাক করে রাখে সে, কিন্তু ফুলকি তাঁর চোখের দিকে তাঁকিয়ে সেই একই রকম চেনা চেনা লাগে, বুঝতে পারেনা এই চোখ কোথায় দেখেছে আগে।
হঠাৎ ফুলকির মনে পড়ে এই একই চোখ তো রাজমহলের গুরুজীরও দেখেছে সে আগে। ফুলকির সন্দেহ হয় গুরুজী আর এই লোকটা একজনই। নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে থাকে ফুলকি, অন্যদিকে রোহিত পুলিশদের নিয়ে পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। ফুলকি বন্দু’কের মুখ ঘোরাতে গিয়ে গু’লি লেগে যায় স্বাগতা ম্যাডামের, মুহূর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে র’ক্তা’ক্ত অবস্থায় স্বাগতা আর পাশে ফুলকিকে কাঁদতে দেখা যায়।

কোনও রকমে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ম্যাডামকে, সেখানে বসে ফুলকি রোহিতকে সবটা বলে যে গুরুজী আর ওই গুন্ডাটার চোখ দুটো একই। রোহিত ফুলকির কোনও কথায় বিশ্বাস করে না, উল্টে বলে একজন গুরুজী কি করে বন্দুক নিয়ে লোক মারতে যেতে পারে। ফুলকিকে বলে তার কোথাও ভুল হচ্ছে, কিন্তু ফুলকি হঠাৎ সামনের দেওয়ালে রুদ্রর একটা ছেঁড়া পোষ্টারের দিকে চোখ পড়ে।
ফুলকির চোখ পড়তেই সে বুঝে যায় যে তিনজন লোকই এক, কিন্তু রোহিত মানতে চায় না। রোহিত বলে রুদ্র এখন সংশোধনাগারে বন্দী, সে কিভাবে তিন জায়গায় থাকতে পারে। ফুলকি বোঝাতে চায় যে এটা রুদ্রর নতুন মতলব। লাবণ্যকে ফুলকি ফোন করে সংশোধনাগারে আসতে বলে। তারপর তিনজনে সেখানে গিয়ে রুদ্রর সঙ্গে দেখা করতে চায়, কিন্তু পুলিশ কিছুতেই যেতে দেয় না।
আরও পড়ুনঃ সিসিটিভিতে ধরা পড়ল সত্যি! অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে পারুল! পেছন থেকে তূর্যর আঘাত রায়ানের উপর! রায়ান কি শেষমেশ পারবে পারুলকে বাঁচাতে?
অনেক জোর করার পর ফুলকিরা গিয়ে দেখতে পায় রুদ্র নিজের সেলের ভেতরেই শুয়ে আছে। উঠে এসে লাবণ্য আর ফুলকিকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করতে থাকে সে, রোহিত নিজের ধৈর্য হারিয়ে ফেলে রুদ্রকে মারতে চেষ্টা করে কিন্তু পুলিশ এসে সরিয়ে নিয়ে যায় তাদের। ফুলকির তাও বিশ্বাস হয় না, লাবণ্য আর রোহিতকে বলে নিশ্চয়ই কোনও বড় চক্রান্ত চলছে, কারণ তাঁর বিশ্বাস তিন জায়গায় রুদ্রই আছে।