জি বাংলার ‘পরিণীতা’ (Parineeta) তে একদিকে বসু বাড়ির উপর কোনও এক অজ্ঞাত ব্যক্তি বারবার আঘাত করছে। অন্যদিকে রয়ানকেও মারতে চায় সে! আবার মিথ্যে মামলায় মনোজিত বসুকে ফাঁসানো হয়েছে। পারুল আর রায়ান এবার এক হয়েছে এই ব্যক্তি ধরতে আর বসু বাড়িতে সুরক্ষিত রাখতে। কিন্তু তাঁরা জানে না যে এই ব্যক্তি আর কেউ নয় বরং তূর্য। পারুল আর রায়ান কি সফল হবে তূর্যর আসল পরিচয় জানতে? বসু বাড়িকে কি বাঁচাতে পারবে তাঁরা?
আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় পারুল আর রায়ান পুলিশকে গিয়ে সবটা খুলে বলে। পুলিশ তৎপর হয়ে পড়ে শ্রীতমার প্রেমিককে খুঁজতে। পারুলের পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে সারারাত তল্লাশি চালিয়ে অবশেষে তাঁরা পৌঁছায় সেই নতুন বাজার এলাকায় যেখানে বার্ষিক অনুষ্ঠান চলছিল।

পারুলরা যে খোঁজ পেয়ে গেছে সে খবর জানতে পেরে যায় তূর্য। রাগের মাথায় শ্রীতমার প্রেমিকের ক্ষতি করতে যায় সে। ঠিক সেই সময়ে পারুল আর রায়ান সেখানে গিয়ে পৌঁছে যায়। কোনও রকমে তাঁর ক্ষতি আটকাতে পারলেও পালিয়ে যায় তূর্য। কিন্তু বেশিদুর পালাতে পারেনা সে। পুলিশ চারিদিক থেকে ঘিরে ধরে তাঁকে।
আর পালানোর চেষ্টা করলে পারুল ফেলে দেয় তাঁকে। লাঠি হাতে নিয়ে পারুল এগিয়ে যায় তাঁর দিকে বলতে বলতে যে, “তুমিই আমাদের বারবার ক্ষতি করতে চাইছো সেটা আমরা বুঝে গেছি, কিন্তু এবার তুমি নিজের মুখেই বলবে কারণটা।” তূর্য মনে মনে বলে এত সহজে হেরে যাবেনা সে। পালানোর পথ খুঁজতে গিয়ে নিচের দিকে লক্ষ্য করে যে একটা ম্যানহল এর উপর দাড়িয়ে সে।
এরপর থেকে কারোর অজান্তেই কিছু একটা রাসায়নিক বের করে ছড়িয়ে দেয় সেখানে। পারুল লাঠি হাতে ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় তার দিকে আর বলে এবার তোমার মুখোশ খুলবোই।পারুল একদম কাছে পৌঁছাতেই হঠাৎ এক বিস্ফোরণের মত ম্যানহলের দরজাটি খুলে তূর্য সেখানে ঢুকে যায়। সবাই আশ্চর্য হয়ে যায়, পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি পর্যন্ত চালায়।
কিন্তু কিছুতেই ধরা যায় না তাকে। পুলিশ পারুল আর রায়ানকে আরো সতর্ক হতে বলে কারণ এই ব্যক্তি অনেক পদ্ধতি জানে এবং সব খবরও রাখে তাদের সম্বন্ধে। তাকে ধরা না গেলেও পুলিশ পারুলকে আশ্বস্ত করে যেহেতু শ্রীতমার প্রেমিককে উদ্ধার করা গেছে তাই এবার আর মনোজিতকে সুবিচার পাওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারবে না।
পুলিশ বলে শ্রীতমা যদি এবার তার বয়ান পাল্টে দেয় তাহলে ছাড়া পেয়ে যাবেন কাকা। সেইমতো শ্রীতমার নতুন বয়ানের ভিত্তিতে কাকা ছাড়া পেলেও সম্মান ফিরে পাননা তিনি। পারুল বুঝতে পারে, মিডিয়ার দ্বারস্থ হতে হবে। রায়ান জানায় শিরীনের চেনাশোনা সাংবাদিক বন্ধু রয়েছে। সেইমতো পারুল আর রায়ান তার বাড়ি গিয়ে তাকে সবটা বুঝিয়ে বলে।
আরও পড়ুনঃ ছোট রানীর উদ্বেগ বাড়ছে, ফুলকি জেনে গেল রাজবাড়ির রহস্য! বড় রানীর সামনে অনেক বড় বিপদ! তাঁকে বাঁচাতে পারবে কি ফুলকি?
শিরিন সাহায্য করতে রাজি হয় কিন্তু বন্ধুকে ফোন করে যেই বলে পজেটিভ অ্যাঙ্গেলে স্টোরি বানিয়ে মনোজিত বসুকে আবার সম্মান ফিরিয়ে দিতে, বন্ধুটি জানিয়ে দেয় সে পারবে না ওপর মহল থেকে নির্দেশ না আসলে। পারুল এবার ঠিক করে লাইভ খবরের দপ্তরে যাবে সে। কাকাবাবু ফিরলেও বসু বাড়ি সম্মান কি ফেরাতে পারবে পারুল? এবারের মতো তূর্য পালালেও, পারুল কি তার মুখোশ কোনোদিনও টেনে খুলতে পারবে? জানতে চোখ রাখুন আগামী পর্বে।