জি বাংলার ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় রায়ানকে তার মা পারুলের নামে কান ভাঙাতে থাকে, পিসিমণি এসে তাঁকে থামিয়ে বলেন, যে পারুল কখনওই এই কাজ করতে পারে না উল্টে পারুল প্রতিবার রায়ানকে বাঁচিয়েছে, এবারও সেটাই করবে। রায়ান শিরীনকে ফোন করে পারুলের কথা বলতেই, শিরীন বলে পারুল যে কেমন সে আগে থেকেই জানত, তাই রায়ানকে বলে পারুলের সাথে দুরত্ব বজায় রাখতে।
পারুল এসে রায়ানকে সত্যিটা জানায় যে তূর্য দাদুকে সবটা বলেছে। ঠিক তখনই পারুলের মনে পড়ে যে এক বন্ধু শিরীন আর তূর্যকে একসাথে সময় কাটাতে দেখেছিল। পারুল বলে যে শিরীন ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করার জন্য তূর্যকে হাত করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। রায়ানের চোখের সামনে এবার সবটা পরিষ্কার হয়ে যায়, তখনই পারুলের হাত ধরে তূর্যের বাড়ি নিয়ে যায় সে।

অন্যদিকে শিরীন তূর্যকে ফোন করে জানায় পারুল আর রায়নের এর মধ্যে দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছে, তাদের পরিকল্পনা কাজ করছে। ঠিক তখনই তূর্যের দরজার বাইরে হাজির হয় রায়ান আর পারুল। দরজা খুলতেই তাদের দেখে ভয় পেয়ে যায় তূর্য রায় জোর জবরদস্তি ঘরের ভেতরে ঢুকে আসতে দেখে পারুলের বিশাল বড় একটা ছবি দেওয়ালে টাঙানো রয়েছে।
এইবার রায়ান বুঝে যায় পারুলকে পাওয়ার জন্যই শিরীনের সাথে হাত মিলিয়ে এত বড় ক্ষতি করেছে সে। রায়ান ছবিটা খুলে নিয়ে চলে যায়, পারুল সোজা কথায় জবাব দিয়ে দেয় তূর্যকে যে তাঁকে ভালোবেসে যা খুশি করতেই পারে, কিন্তু রায়ানের কোনও ক্ষতি যেন না করার চেষ্টা করে। ভবিষ্যতে যদি তাদের সম্পর্কের দিকে হাত বাড়ায় বা ভাঙার চেষ্টা করে তাহলে ফল ভালো হবে না।
আরও পড়ুনঃ কার কাছে কই মনের কথা হোক বা পুবের ময়না সব চরিত্রই অসামান্য অভিনেত্রী স্নেহা চ্যাটার্জী! পার্শ্বচরিত্র নয়, এবার মুখ্য ভূমিকায় স্নেহাকে দেখতে চান দর্শকরা!
তূর্য ফোন করে শিরীনকে সবটা জানিয়ে দেয় যে পরুল-রায়ান সবটা জেনে গেছে। রায়ান শিরীনের সাথে সব সম্পর্ক ভেঙে দেবে বললে, শিরীন কেঁদে কেঁদে হতে পায়ে ধরে বলে পারুলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেবে কিন্তু রায়ান যেন তাঁর সাথে সস্পর্ক শেষ না করে। রায়ান বাড়ি ফিরে পারুলকে জানায় শিরীন তাঁর সাথে বন্ধুত্ব করতে চায়। পারুল প্রথমে রাজি না হলেও, রায়ান একটা সুযোগ দিতে বলায় সে রাজি হয়ে যায়।
বন্ধুত্ব করার নামে শিরীনের অন্য উদ্দেশ্য আছে। সে বলে এতোদিন শত্রু হয়ে ক্ষতি করতে চেয়েছি, এবার বন্ধু হয়ে খুঁটি করব। পার্টিতে দেখে পাঠায় রায়েন আর পারুলকে। পারুল যেতে না চাইলেও, রায়ান জোর করে নিয়ে যায়।সেখানে শিরিন পারুলকে কিছু একটা শরবত খাওয়ায়, যার পরে পারুলের শরীরে অস্বস্তি শুরু হয়। কি হবে এবার? সত্যিই কি শরবতে কিছু মেশানো? জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।