জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

দাদুর চোখে চোখ রেখে যুদ্ধ ঘোষণা রায়ানের! পারুল-রায়ানের বাঁচার লড়াই শুরু! বাড়ি ভাড়া মেটাতে চপ দোকানই একমাত্র ভরসা তাদের! ‘পরিণীতা’তে পারুল এবার ‘এমবিএ চপওয়ালি’!

জি বাংলার ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, ভাড়া বাড়িতে নতুন সংসার পেতেছে পারুল-রায়ান। সেখানে সব কাজ তাদের একা হাতে করতে হচ্ছে। রায়ানের খিদেয় খারাপ অবস্থা কিন্তু পারুলের কাছে টাকা নেই আর রায়ান মুড়ি খেতে নারাজ। অগত্যা পারুল বাইরে থেকে খাওয়ার কিনে এনে দেয় রায়ানকে। এদিকে বসু বাড়ি থেকে রায়ানের মা-বাবা আর ঠাম্মি এসে উপস্থিত হন পারুলদের বাড়ি।

ঠাম্মি অনুরোধ করেন তাদের সঙ্গে বসু বাড়ি ফিরে যেতে, কিন্তু রায়ান স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় তাদের কথায় তো আর রায়ানরা বাড়ি ছাড়েনি, সুতরাং যার জন্য এত কিছু সে না এলে যাবে না তাঁরা। রায়ানের মা বলেন পারুল একা থেকে যা খুশি করুক ফিরে যেতে। তাঁকেও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় রায়ান, এক যাত্রায় কখনো পৃথক ফল হতে পারে না। তারা যখন একসঙ্গে বাড়ি ছেড়েছে তখন একসঙ্গেই ফেরত যাবে।

Parineeta, Zee Bangla, Bangla Serial, Uday Pratap Singh, Ishani Chatterjee, Surabhi Mallick, Parul, Rayan, Shireen, New Episode, পরিণীতা, জি বাংলা, বাংলা সিরিয়াল, উদয় প্রতাপ সিংহ, ঈশানী চ্যাটার্জী, সুরভি মল্লিক, শিরীন, নতুন পর্ব

বাড়ি গিয়ে দাদুকে সবটা বলেন ঠাম্মি, দাদু রেগে যান পারুল-রায়ানের সাহস দেখে। অন্যদিকে পারুল চিন্তায় পড়ে যায়, দাদু সত্যিকারের এসে তাদের ফিরে যেতে বললে কি করবে তারা? রায়ান আশ্বস্ত করে এমন কিছুই হবে না, সে দাদুকে ভালো করেই চেনে। কিন্তু দাদু এবার সত্যি সত্যিই এসে হাজির হন তাঁদের বাড়ি। যথারীতি ফিরে যাওয়ার কথাই বলেন তিনি, কিন্তু এবারও পারুল না করে। দাদু রেগে গিয়ে তাকে তলব করার কারণ জানতে চান।

রায়ান দাদুকে বলে, তাঁকে ডাকার একটাই কারণ যে নিজের চোখে এটা দেখানো পারুল-রায়ান তাঁকে ছাড়াও বাঁচতে পারে। প্রথমবার তাদের বাড়িতে এসেছে দেখে পারুল একটু জল খাওয়ার অনুরোধ করে দাদুকে। দাদু উল্টে পারুল কে দোষারোপ করেন তার নাতিকে দূরে নিয়ে গিয়ে সংসার পাতার জন্য। বাড়ি ফিরে গিয়ে দাদু জানিয়ে দেন, কেউ যেন পারুল-রায়ানের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ না রাখে।

এদিকে রাতে গরমে ঘুম আসেনা রায়ানের, পারুল সবটা দেখে রায়ানের জন্য ফ্যানের ব্যবস্থা করে। এরপর দেখা যায় চিন্তায় রয়েছে দুজনে কিভাবে বাড়ি ভাড়ার টাকা জোগাড় করবে। তিন দিনের মধ্যে টাকা দিতে না পারলে তাদের বাড়ি ছাড়া হতে হবে, রায়ান জানায় কলেজের বন্ধুদের কাছ থেকে টাকা ধার করবে। পারুল বলে, যেখানে একরাত থাকতে দিতে পারল না তারা নাকি টাকা দেবে।

পারুল এক থালা চপ এনে রায়ানকে খেতে দেয়। রায়ান খেয়ে বুঝতে পারে না কিসের চপ। পারুল তখন বলে পটল দিয়ে তৈরি যদিও, কিন্তু সে আরও অনেক রকমের চপ বানাতে পারে। রায়ান বুদ্ধি দেয় চপের দোকান খোলার, সেখান থেকে যে টাকা রোজগার হবে তাই দিয়ে ভাড়াটা অন্তত দেওয়া যাবে। পারুল দোকানের নাম রাখে ‘এমবিএ চপওয়ালি’! এরপর কি হবে জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।

Piya Chanda