জি বাংলার ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় ইউনিভার্সিটিতে একজন অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী আসেন পারুলদের ক্লাস নিতে। উনি নিজের সাফল্যের গল্প শুনিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবসা করতে অনুপ্রাণিত করেন। পারুল তাঁর কথা শুনে মুগ্ধ হয়ে যায়, আর রায়ানকে বলে, যে ইনিও তো একজন প্রবীণ মানুষ কিন্তু দাদুর থেকে একদম আলাদা। কি সুন্দর সবাইকে এগিয়ে যেতে বলছেন ছেলে-মেয়ে ভেদাভেদ না করেই।
ঠিক এমন সময়ে ফোন আসে বাড়িওয়ালীর। আসলে সেখানে দাদু গিয়ে তাঁকে হুমকি দেন যে রায়ান পারুলকে যেন বাড়ি দিয়ে তাড়িয়ে দেয় তিনি। সেই মতন ফোন করে তিনি পারুলকে অনেক কথা শোনান, যে তাঁরা বিবাহিত বলে বাড়ি ভাড়া নিয়েছে কিন্তু আদতে আলাদা হতে চায় আর তার উপর ভাড়াও দেয়নি। তিনি বলেন, যদি দুদিনের মধ্যে টাকা না দেয় তবে বাড়ি ছাড়তে হবে।

এবার পারুল চিন্তায় পড়ে যায়। রায়ানকে সবটা জানালে রায়ান ব্যবসা করতে চায়, কিন্তু কিসের ব্যবসা করবে সেটাই বোঝে না। সন্ধে বেলায় পারুল-রায়ান চপ মুড়ি খেতে বসে, পারুল রায়ানকে বলে এই চপ সে নিজের হাতে বানিয়েছে। রায়ান হঠাৎ করেই বলে বসে, ‘চপের দোকান দেব, চপের ব্যবসা করব।’ পারুল বলে, এত চপের দোকান থাকতে কে চপ কিনবে তাঁদের থেকে?
রায়ান বলে, তাদের ব্যবসা একদম অন্যরকম ভাবে তৈরি হবে। দোকানের নামটা এমন দিতে হবে যেন লোকের মুখে মুখে ফেরে। অনেক ভাবার পর রায়ান নাম রাখে ‘এমবিএ চপওয়ালি’! পারুলের নামটা খুবই পছন্দ হয়, কিন্তু ব্যাবসা শুরু করতে টাকা লাগে আর সেটা কে দেবে? রায়ান বলে, বন্ধুদের থেকে ধার চাইবে কিন্তু পারুল না বলে। এরপর পারুল বলে, দাদাকে টাকা চাইলে সে না করতে পারবে না বোনকে।
আরও পড়ুনঃ “তৃণমূলে গিয়ে বুঝলাম, চামড়া মোটা থাকলে তবেই টেকা যাবে”— তৃণমূলের মঞ্চ ছেড়ে সৌরভ ‘বেঙ্গল ফাইলস’ ছবিতে! চামড়া মোটা নয় বলেই কী শাসকদল ছাড়লেন সৌরভ? না কি ‘দুই নৌকায় পা’ রাখছেন অভিনেতা?
সেই মতো গোপালকে ফোন করে ব্যবসার জন্য টাকা চায় পারুল, তিনি খুশি হয়ে সেই টাকা পাঠিয়ে দেন। তবে রুক্মিণীর সন্দেহ হওয়াতে বসু বাড়িতে ফোন করে সে, তারপর ওদের ডিভোর্সের কথা শুনে একেবারে অবাক হয়ে গিয়ে গোপালকে সবটা জানায়। অনুশোচনায় পড়ে যান গোপাল তাঁর ভুল সিদ্ধান্তের জন্য। এদিকে রমরমিয়ে চপের দোকান চলতে থাকে পারুল-রায়ানের। দাদুর আত্মসম্মানে লাগায় তিনি এসে রায়ান কে মারতে গেলে পারুল হাত ধরে নেয়!