জি বাংলার ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় রায়ান স্বুতীর্থর ব্যাগ খুঁজে পারুলের আসল পেন্সিল বাক্স খুঁজে পায়। এরপর স্বুতীর্থকে চেপে ধরতেই সে ফাঁস করে দেয় শিরীনের নাম, আর বলে শিরীনের পরিকল্পনা ছিল যে পারুলের সাথে বন্ধুত্ব করে তারপর তাঁকে শেষ করে দেবে। পারুল রায়ানকে বলে যে সে আগে থেকেই জানত যে শিরীন কখনওই বদলাতে পারে না।
রায়ান এবার পারুলকে বিশ্বাস করে শিরীনকে জানতে চায় যে এমনটা কেন করলো সে? শিরীন বলে রায়ানকে পাওয়ার জন্যই এরম করেছে যাতে পারুল দূরে সরে যায়। রায়ান আরও রেগে গিয়ে শিরীনকে বলে, তাঁর সাথে সব সম্পর্ক শেষ করলো আর কোনও দিনও যেন পারুলের ক্ষতি করার কথা না ভাবে। রায়ান পারুলের হাতটা শক্ত করে ধরে বলে, পারুলের ঋণ কখনওই শোধ করা যাবে না। পারুলের জন্যই সে আজ বেঁচে আছে।

অন্যদিকে নেড়া গোয়ালে রুক্মিণী আর গোপাল মিলে বন্ধ হয়ে যাওয়া শাড়ির কারখানা শুরু করে। গ্রামের সব মেয়ে-বউরা দলে দলে যোগ দেয় এই উদ্যোগে। শাড়ি তৈরি থেকে, বিজ্ঞাপনের জন্য ছবি তোলা সবই জোর কদমে চালিয়ে যেতে দেখা যায় গোপাল-রুক্মিণীকে। ইতিমধ্যেই শহর থেকে শাড়ির অর্ডার আসতে শুরু করে। গোপালের মা মনে মনে ঠিক করে ফেলে যে রুক্মিণীকে এবার নিজের জায়গা বুঝিয়ে দেবে।
রাতে বাড়ি ফিরে গোপাল রুক্মিণীকে মা লক্ষ্মীর সাথে তুলনা করে, ঠিক এই সময় এসে হাজির হন গোপালের মা। তিনি আবার অনেক কথা শুনানোর পর বলেন এবার থেকে সংসারের দায়িত্ব নিতে হবে শুধু সমাজসেবা করলেই চলবে না। এদিকে পারুল বাড়ি ফিরে আসলে সবাই পরীক্ষায় নকল করা নিয়ে অনেক কটাক্ষ করে তাকে। কিন্তু রায়ান আসল সত্যিটা জানায় যে পারুল নির্দোষ।
সেই সময়ে শিরীনের মায়ের ফোন আসে, এবং তিনি জানান শিরীন আ’ত্ম’হ’ত্যার চেষ্টা করেছে, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাড়াতাড়ি করে সেখানে বসু বাড়ির সকলে উপস্থিত হতেই জানা যায় শিরীনের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে কিন্তু তাঁর মা রায়ানকে স্বার্থপর বলেন আরও অনেক খারাপ কথা শোনাতে থাকেন। পারুলের সন্দেহ হয় যে আগের মতন শিরীন নাটক করছে না তো?
আরও পড়ুনঃ ফুলকি আর রোহিত এবার একসঙ্গে বড় রানীর পাশে! ধানুর ন্যায়ের পথে ধাক্কা খেল আদিত্যর সম্মান! ইন্দ্রের ফিরে আসা কি ফুলকির জন্য নতুন বিপদের সংকেত?
পারুল বৌদিমণিকে বলে শিরীন ইচ্ছা করে এমন করছে রায়ানকে ছোট করার জন্য। শিরীনের জ্ঞান ফিরতেই রায়ানকে পাশে চায় সে, কিছুতেই ছাড়তে চায় না। রায়ানের ইচ্ছা না থাকার পরেও ওখানে থাকতে হয়। অন্যদিকে পারুলের জন্মদিন তাই মা এসেছেন গ্রাম থেকে, আসতেই তিনি রায়ানের খোঁজ করেন। পারুল সিদ্ধান্ত নেয় যে রায়ানের যখন ইচ্ছা নেই, তখন শিরীনের কাছ থেকে ছাড়িয়ে আনবে পারুল।