জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’ (Parineeta) পারুলের জীবনসংগ্রাম এবং প্রতিষ্টিত হওয়ার গল্প। উচ্চশিক্ষার জন্য ন্যাড়া-গোয়াল থেকে কলকাতার ব্রাইট মাইন্ডস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা পারুলের সঙ্গে পরিচয় হয় রায়ানের। ভাগ্যের ফেরে তাদের একে অপরের সাথে বিবাহ হয়। এরপর থেকে তাদের সম্পর্ক দ্বন্দ্বের মাত্রা বাড়তেই থাকে খলনায়িকা শিরীন এর জন্য। বর্তমানে গল্প বিভিন্ন নতুন মোড়ে রোমাঞ্চ আরো বেড়েছে।
আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় পারুল পুলিশ স্টেশনে গিয়ে রায়ানের উপর হওয়া হামলা নিয়ে সবটা জানিয়ে দেয়। পুলিশ সেই অঞ্চলের সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করলে দেখা যায় যে ব্যাক্তি এক সময়ে ডিকে কে হ’ত্যা করেছিল, সেই একই রকম দেখতে ব্যাক্তিই রায়ানের উপর হামলা করেছে। যদিও ব্যক্তির মুখ দেখা যায় না, তাও পোশাক ও শারীরিক গঠন দেখে দুজনকে একই বলে শনাক্ত করে পুলিশ। পারুল কিছুতেই ভেবে উঠতে পারেনা কেন কেউ রায়ানকে মারতে যাবে? ডিকে আর রায়ানের কি সম্পর্ক, আর কেনই বা পারুল সামনে দাঁড়াতে সে বন্দুক না চালিয়েই ফিরে গেল?

সে যদি চাইতো তাহলে পারুলকে গু’লি করেও রায়ানকে গু’লি করতে পারতো। পুলিশ এই বিষয়ে পারুলকে চিন্তা করতে বারণ করে এবং বলে যতদিন না অভিযুক্ত ধরা পড়ছে ততদিন রায়নকে চোখে চোখে রাখতে। অন্যদিকে ঘুম থেকে উঠে রায়ান পারুলকে দেখতে না পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে আর আগের রাতের ঘটনা তাকে এতটাই ভীত করে দিয়েছে যে, তার ঘর থেকে বেরতেও ভয় করতে থাকে। এরপর পারুল ফিরে এলে যায়েন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে কোথায় গিয়েছিল সে। পারুল জানায় সে পুলিশকে সমস্ত কিছু জানিয়ে এসেছে।
রায়ান রেগে গিয়ে বলে এবার বাড়িতে পুলিশ এলে সব জানাজানি হয়ে যাবে আবার তাকে অপদস্থ হতে হবে। পারুল আশ্বস্ত করে এমন কিছু ঘটবে না এবং পুলিশ যে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে সে কথাও রায়ানকে জানায়। রায়ানের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে এই কথা শুনে। এরপর পারুল রায়ানকে তৈরি করতে বলে ইউনিভার্সিটির প্রিন্সিপালের সাথে দেখা করতে যাওয়ার জন্য। রায়ান এক বলে সে কোনভাবেই তার ভালো বন্ধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে পারবে না।
পারুল অনেক করে বোঝালেও রায় কিছুতেই যেতে রাজি হয় না। উল্টে পারুলের ফোন থেকে ভিডিওটা ডিলিট করার চেষ্টা করে। পারুল সেই মুহূর্তে দাদুর ভয় দেখিয়ে, রায়ানকে দমিয়ে দেয় এবং তার সাথে যাওয়ার কথা বলে। প্রথমে রায়ান আপত্তি করে যে পারুলের লেজ হয়ে সে কখনোই আশেপাশে ঘুরতে পারবেনা কিন্তু পারুল জানিয়ে দেয় এই সময় তার উপরে যা বিপদ এসেছিল আর পুলিশকে সে কথা দিয়েছে, সেই কারণে রায়ানকে সবসময় তার সাথেই থাকতে হবে।
অন্যদিকে ন্যাড়া-গোয়ালে রুক্মিণী আর গোপাল মিলে বাড়ির মেয়ে বউদের উপার্জনের পথ খুঁজে দিয়ে স্বনির্ভর করতে একটি রান্নার চ্যানেল খুলে দেয়, যাতে তারা রান্না দেখিয়ে নাম আর অর্থ দুই কামাতে পারে। এরপর দেখা যায় রায়ানকে সঙ্গে করে পারুল প্রিন্সিপালের কাছে নিয়ে যায়, সেখানে শিরীনের মা বাবার সামনে সব সত্যি তুলে ধরে সে। প্রিন্সিপাল এর পর চরম রেগে গিয়ে কারোর কোনো অনুরোধ না শুনেই শিরীনকে বাদ দিয়ে দিতে উদ্ধত হন। পারুল আপত্তি জানিয়ে বলে, সে কারোর জীবন নষ্ট হয়ে যায় এটা কোনভাবেই মেনে নিতে পারবে না।
তাই যেন শিরীনকে একটা শেষ সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করে পারুল। প্রিন্সিপাল জানায় বারবার পারুলের উপর শিরীন ও তার বন্ধুরা মিথ্যে অভিযোগ এনে আর ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তিনি বলেন ভবিষ্যতে যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটে তাহলে কারোর কথা তিনি শুনবেন না। এরপর প্রিন্সিপাল শিরীনকে পারুলের কাছে ক্ষমা চাইতে বলে, পারুল জানায় মুখে ক্ষমা চেয়ে কোনো লাভ নেই বরং মন থেকে অনুতাপ হলেই ভালো। এরপর অপমানিত হয়ে শিরীন বাইরে বেরিয়ে গেলে রায়ানও তার কিছু নেয়। রায়ানকে শিরীন বিশ্বাসঘাতক বলে কথা শোনাতে থাকে।
ঠিক সেই সময় পারুল এসে বলে রায়ান নিজের ইচ্ছায় এখানে এসেছে। শিরীন চলে যেতেই পারুল রায়ানকে বলে সে যদি পারুলের পক্ষে না থেকে শিরীনের পাশে থাকত, তাহলে শিরিনের সাথে সেও ফেঁসে যেত। রায়ান পারুলকে কে জানায় যে শিরীনের তার খুব ভালো বন্ধু, আর তার কোনো বিপক্ষে সে পাশেই থাকবে। পারুলের সাথে রায়ান দুর্ব্যবহার করছে দেখে প্রিন্সিপাল বলেন প্রমাণ না থাকলেও রায়ান সমান দোষী, তাই সে যদি নিজেকে না পাল্টায় তাহলে তাকেও ফল ভুগতে হবে। অন্যদিকে দেখা যায় শিরীনের মা ফন্দী এঁটতে থাকেন, কি করে পারুলকে জব্দ করা যায়।
আরও পড়ুনঃ ফুলকি খুঁজে পেল হারানো মা কে! চক্রান্তে ঘেরা রাজবাড়ির রহস্যে উঁকি দিচ্ছে নতুন মোড়! রাজবাড়ির বড় রানী মা কি আসলে ফুলকির মা?
এরপর শিরীন ক্লাসরুমে ঢুকতেই তার বন্ধুরা জানায় আর তার সাথে মিশবে না কারণ তাদেরও ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে শিরীনের সাথে মিশে। শিরীনের এমন পরিস্থিতিতে পারুল গিয়ে বলে যাকে সে এতোদিন বন্ধু ভেবে এসেছে তারাই আজ তার পাশে নেই আর এটাই তার উচিৎ শাস্তি। ঠিক সেই সময়ে রায়ান এসে বলে আর কেউ শিরীনের পাশে থাকুক বা নাই থাকুক, আমি আছি সবসময়। এরপর ইউনিভার্সিটিতে পুলিশ এসে রায়ান অ্যান্ড পালন কে জানাই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আর কি কি জানা গেছে, ঠিক সেই সময় তূর্য সেখানে উপস্থিত হয়। পারুলকে বারণ করা সত্ত্বেও পুলিশের কাছে কেন গেছে সেই প্রশ্ন করতেই পারুল বলে পুলিশ দারুন একটা লিড পেয়েছে। তবে কি এবার তূর্যর প্ল্যান হতে চলেছে আরো ভয়ংকর? পারুলের সামনে কি তূর্যর সত্যি আসবে খুব তাড়াতাড়ি?