জি বাংলার ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় রুক্মিণী গোপালকে জানাচ্ছে তার ইন্টারভিউ আছে পরদিন সকালে, কিন্তু বাড়ির লোকেরা জানতে পারলে যদি অশান্তি করে। গোপাল তাঁকে আশ্বাস দেয়, সে থাকতে রুক্মিণীকে কেউ জ্বালাতন করতে পারবে না। কিন্তু এই কথোপকথন ভাদু লুকিয়ে শুনে নেয়। রান্নাঘরে গিয়ে গোপালের মা আর কাকিকে সবটা লাগিয়ে দেয় ভাদু।
গোপালের মা তখনই রেগে গিয়ে অশান্তি করতে চান, কিন্তু কাকি বলে ইন্টারভিউর সময় অশান্তি করতে। এই কথা শুনে ফেলে গোপালের ভাইয়ের বউ, তাড়াতাড়ি গিয়ে গোপালকে সবটা খুলে বলে সে। অন্যদিকে দোকানের কাজ শেষ করে পারুলরা সবে বাড়ি ফিরেছে। গোপাল এমন সময় ফোন করে জানতে চায়, কিভাবে বাইরে অনেক জন চিৎকার করলে ঘরের ভেতর আওয়াজ আসা আটকানো যায়।

পারুল ফিজিক্সের স্টুডেন্ট, তার মাথায় বুদ্ধি অনেক। সেই জন্যই গোপাল তাঁকে ভরসা করে জানতে চায়। পারুল বুদ্ধি দেয়, ঘরের সমস্ত জানলা দরজা এবং কোনও ফাঁকা জায়গা ঢেকে দিতে। আর প্রয়োজনে কানে হেডফোন লাগিয়ে বসতে যাতে কোনও আওয়াজ অসুবিধা না করতে পারে। সেইমতো গোপাল সব করে রাখে। অন্যদিকে বসু বাড়িতে দাদুর রাতে কিছুতেই ঘুম আসে না।
তিনি ভাবতে থাকেন পারুলকে শহরে আনার সিদ্ধান্তই তার ভুল ছিল। পারুলের হাত দিয়েই বসু বাড়ি ভাঙতে বসেছে। ঠাকুমা অনেক বোঝালেও দাদু এখনো পারুলকেই দোষী মনে করছেন। পরদিন সকালে যথারীতি ইন্টারভিউ এর সময় গোপালের মা, কাকি এবং ভাদু রুক্মিণীর উদ্দেশ্যে ঘরের দিকে আসতেই দরজার বাইরে গোপালকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে।
আরও পড়ুনঃ সাধুর মুখোশে শয়তান! শ্মশানে ফুলকিকে উৎসর্গ করতে চলেছিল সে! শেষ মুহূর্তে হাজির শ্যামানন্দ! মায়ের ইশারায় বাঁচল কী ফুলকি?
গোপাল জানিয়ে দেয় তাকে সরিয়ে ঘরে ঢোকা যাবে না। সুতরাং বাইরে দাঁড়িয়ে সবাই চিৎকার করতে থাকে কিন্তু কোনও লাভ হয় না। পরদিন ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে পারুল মুখোমুখি হয় তূর্যের! অদ্ভুতভাবে পালনের দিকে তাকিয়ে থাকে সে, রায়ানের খুব রাগ হয়। তূর্যকে রায়ান হুমকি দেয় উল্টে তুর্যও বলে, আগেরবারের থেকে সে অনেক ক্ষমতা নিয়ে ফিরেছে। কেউ চাইলেও আর কিছু করতে পারবে না।